—প্রতীকী ছবি।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা না দিয়েও বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পাশ পড়ুয়ারা বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে পড়ার সুযোগ পাবেন, বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল উচ্চ শিক্ষা দফতর।
রাজ্যে চলতি বছরেও ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে তিন দফা কেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের পরে বহু আসন ফাঁকা। উচ্চ শিক্ষা দফতর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলি এ বার শুধু দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণদেরও ভর্তি নিতে পারবে। সরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে অবশ্য বিকেন্দ্রীভূত কাউন্সেলিংয়ের মাধ্যমে ভর্তি হতে গেলে রাজ্য জয়েন্ট-এর র্যাঙ্ক থাকতে হবে।
ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে গেলে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় র্যাঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক, এমন নিয়ম অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন (এআইসিটিই) কয়েক বছর আগেই তুলে দিয়েছে। গত দু'বছর ধরে এই রাজ্যেও বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির ক্ষেত্রে দ্বাদশ শ্রেণি উত্তীর্ণদেরও সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এক বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কর্তা জানান, জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় যত জন র্যাঙ্ক পেয়েছিল, কেন্দ্রীভূত ভর্তির সময় দেখা গেল সেই তালিকা সম্পূর্ণ নিঃশেষিত। অথচ প্রচুর আসন খালি পড়ে। অগত্যা রাজ্য সরকার এমন নির্দেশ দিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘এআইসিটিই-সহ অন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার নিয়ম ও যোগ্যতামান অনুসারেই দ্বাদশ উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।’’ তিনি জানান, এ বছর পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডের ‘মপ-আপ রাউন্ড’-সহ মোট তিন দফা কাউন্সেলিংয়ের পর দেখা যাচ্ছে রাজ্যে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে স্নাতক স্তরের ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি, আর্কিটেকচার ও ফার্মাসির ৩৬,৫৫০ আসনের মধ্যে ১৫,৪৭৬টি ভর্তি হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে প্রত্যেক বছরের মতোই এ বারও আসনগুলি ভর্তি করার জন্য সরকারি এবং বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্দিষ্ট নিয়মাবলী মেনে বিকেন্দ্রীভূত ভর্তির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।