—প্রতীকী ছবি।
দু’টি সিমেস্টার মিলিয়ে পাশ নম্বর পেলে হবে না। প্রতিটি সিমেস্টারেই পাশ করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে সিমেস্টার পদ্ধতির মূল্যায়নে এই বদল আনার কথা জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। এই বদলকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষকেরাও। তাঁদের মতে, প্রতিটি সিমেস্টারে পাশ নম্বর থাকলে তবেই দু’টি সিমেস্টার সমান গুরুত্ব পাবে।
উল্লেখ্য, সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হওয়ার সময়ে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, প্রতিটি বিষয়ে দু’টি সিমেস্টার মিলিয়ে পাশ নম্বর পেলেই সে সেই বিষয়ে উত্তীর্ণ হবে।
উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে চারটি সিমেস্টার হওয়ার কথা। প্রথম দু’টি সিমেস্টার হবে একাদশ শ্রেণিতে। পরের দু’টি দ্বাদশে। দ্বাদশে যে দু’টি সিমেস্টার হবে সেই দু’টি সিমেস্টারকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল্যায়নের সমতুল বলে ঘোষণা করেছে সংসদ।
উচ্চ মাধ্যমিকে ল্যাবরেটরি নির্ভর বিষয়গুলিতে ৭০ নম্বরে পরীক্ষা হয়। ল্যাবরেটরি নির্ভর নয় এই বিষয়গুলিতে ৮০ নম্বরে পরীক্ষা হয়। ৮০ নম্বরের বিষয়গুলির ক্ষেত্রে প্রতিটি সিমেস্টারে ৪০ নম্বর থাকবে। এবং ৭০ নম্বরে বিষয়গুলিতে প্রতিটি সিমেস্টারে ৩৫ নম্বর থাকবে।
আগের নিয়ম অনুযায়ী প্রথম সিমেস্টারে বা তৃতীয় সিমেস্টারে ৪০ এবং ৩৫ নম্বরের মধ্যে কেউ যদি শূন্যও পেত তা হলেও সে দ্বিতীয় ও বা চতুর্থ সিমেস্টারে বসতে পারত। কারণ, দু’টি সিমেস্টার মিলে অর্থাৎ ৮০ বা ৭০ মধ্যে যে পাশ নম্বর সেটা পেলেই সে উত্তীর্ণ হয়ে যাচ্ছিল। শিক্ষকেরা তখন প্রশ্ন তোলেন, এর ফলে প্রথম বা তৃতীয় সিমেস্টার সম্পূর্ণ গুরুত্বহীন হয়ে যাবে। প্রতিটি সিমেস্টারকে সমান গুরুত্ব দেওয়া হোক। প্রতিটি সিমেস্টারে একটি নির্দিষ্ট পাশ নম্বর চালু করা হোক।
সংসদের সচিব প্রিয়দর্শিনী মল্লিক বলেন, ‘‘আমরা এই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে দেখেছি। প্রতিটি সিমেস্টারকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার জন্য একটি নির্দিষ্ট পাশ নম্বর রাখা হবে। সেই পাশ নম্বর কত হবে তা আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে জানিয়ে দেব।’’