Evaluation

Third Language: গৃহপাঠ নেই, তৃতীয় ভাষা কি উপেক্ষিত

শিক্ষা দফতর তৃতীয় ভাষার বই না-দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের সেই সব বই বাইরে থেকে কিনতে হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৩২
Share:

প্রতীকী ছবি।

একেই তো তৃতীয় ভাষার বই রাজ্যের শিক্ষা দফতর থেকে দেওয়া হয় না। তার উপরে চলতি বছরেও সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির তৃতীয় ভাষার কোনও বিষয়েই ‘অ্যাক্টিভিটি টাস্ক’ বা গৃহপাঠ দেওয়া হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয় ভাষা শিক্ষার বিষয়টিকে সব দিক থেকেই উপেক্ষা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে শিক্ষা শিবিরের একাংশে। এর বিরুদ্ধে সরব অভিভাবকেরাও।

Advertisement

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভিযোগ, গৃহপাঠ না-দেওয়ায় সরকারি ভাবে তৃতীয় ভাষায় ছাত্রছাত্রীদের কোনও নম্বর দেওয়া যাচ্ছে না। যে-সব স্কুল নিজেদের উদ্যোগে তৃতীয় ভাষার পঠনপাঠন চালিয়ে মূল্যায়ন করছে, তারা সেই নম্বর বাংলা শিক্ষা পোর্টালে দিত পারছে না। কারণ, তৃতীয় ভাষার কোনও বিষয়ের নম্বর আপলোডই করা যাচ্ছে না। সংস্কৃত, হিন্দি, উর্দু-সহ তৃতীয় ভাষার বেশ কিছু বিষয়কে এ ভাবে অবহেলা হচ্ছে কেন, প্রশ্ন শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকদের একটি বড় অংশের। এই অবহেলার ফলে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়ারা তৃতীয় ভাষা ঠিকমতো শিখতে পারছে না বলেই তাঁদের অভিযোগ।

শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, গত বছরেও করোনার দাপটের মধ্যে তৃতীয় ভাষার কোনও গৃহপাঠ দেওয়া হয়নি। তাঁরা ভেবেছিলেন, এ বার অন্তত ওই বিষয়েও গৃহপাঠ দেওয়া হবে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তা হয়নি। অন্য সব বিষয়ের নভেম্বরের গৃহপাঠের নম্বর পোর্টালে তোলার নির্দেশ এলেও তৃতীয় ভাষা উপেক্ষিতই। কিছু স্কুল নিজেদের উদ্যোগে তৃতীয় ভাষার পরীক্ষা নিলেও তারা সেই নম্বর বাংলা শিক্ষা পোর্টালে আপলোড করতে পারছেন না
বলে অভিযোগ।

Advertisement

শিক্ষা দফতর তৃতীয় ভাষার বই না-দেওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের সেই সব বই বাইরে থেকে কিনতে হয়। শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন, করোনার আগে তৃতীয় ভাষারও নিয়মিত ক্লাস হত, মূল্যায়নও হত। মার্কশিটে প্রতিফলিত হত তৃতীয় ভাষার নম্বর। কল্যাণীর পান্নালাল ইনস্টিটিউশনের সংস্কৃতের শিক্ষিকা মিঠু নাথ বলেন, ‘‘আমরা নিজেদের উদ্যোগে পড়ুয়াদের পরীক্ষা নিয়ে নম্বর নিজেদের কাছে রেখেছি। বাংলা শিক্ষা পোর্টালে তা আপলোড করার সুযোগ থাকলে ভাল হয়।’’

অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক চন্দন গড়াই জানাচ্ছেন, তৃতীয় ভাষার প্রতি এমন অবহেলা নিয়ে শিক্ষা দফতরের কাছে অভিযোগ করার পরেও কোনও লাভ হয়নি। কলেজিয়াম অব অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেসের সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস বলেন, ‘‘এমনিতেই তৃতীয় ভাষার পাঠ্যবই কিনতে গিয়ে ভীষণ অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। তার উপরে এই বছরেও সেই বিষয়ের কোনও মূল্যায়ন হল না। বাংলা শিক্ষা পোর্টালে তার নম্বরও আপলোড করা গেল না। খুবই অবহেলিত হচ্ছে তৃতীয় ভাষার বিষয়গুলো।’’

শিক্ষা দফতরের তরফে তৃতীয় ভাষার মূল্যায়নের ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে না কেন? ওই দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘অনেকেই সংস্কৃত, হিন্দি বা উর্দু পড়ে। কিন্তু শুধু তো ওই তিনটি বিষয় নয়। বেশ কিছু বিষয় রয়েছে তৃতীয় ভাষায়। শুধু ওই তিন ভাষায় মূল্যায়ন চালু করলে পক্ষপাতের অভিযোগ উঠতে পারে। তাই তৃতীয় ভাষার সব বিষয়েই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক তৈরির প্রক্রিয়া চলছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement