Crime

মালদহ ছেড়ে এ বার করিডর সরছে দিনাজপুরে! জালে ৩, উদ্ধার সাড়ে ৬ লাখের জাল নোট

কটি জাল নোট পাচারের দল পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৯ ১৪:২১
Share:

এই তিন জনকে পাকড়াও করেছে এসটিএফ। —নিজস্ব চিত্র।

মালদহ ছেড়ে এ বার দিনাজপুর সীমান্তে সক্রিয় হচ্ছে আন্তর্জাতিক জাল নোট কারবারীরা। সম্প্রতি কয়েক জন জাল নোট কারবারীকে জেরা করে এমনটাই অনুমান গোয়েন্দাদের।

Advertisement

মঙ্গলবার গভীর রাতে এ রকম একটি জাল নোট পাচারের দল পাকড়াও করেছে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)-এর গোয়েন্দারা। মৌলালি এলাকা থেকে পাকড়াও হওয়া জালনোট কারবারীদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা মূল্যের জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। সবটাই ২ হাজার টাকার নোটে। ধৃতদের মধ্যে দু’জন মালদহের কালিয়াচকের বাসিন্দা, অন্য জন উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা। এসটিএফের যুগ্ম কমিশনার শুভঙ্কর সিন্‌হা বলেন, ‘‘ধৃত নাসিরুদ্দিন মোমিন, শাহিদ শেখ এবং সুমন সরকারকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি,৪৮৯বি,৪৮৯সি ধারায় মামলা করা হয়েছে।”

গত প্রায় সাত বছর ধরে ভারতে জালনোটের মূল করিডর হিসাবে চিহ্নিত মালদহ জেলা। জাল নোটের কারবার রুখতে হিমশিম খায় রাজ্য পুলিশ এবং সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। এর পর জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয় জাল নোটের কারবারীদের পাকড়াও করতে। ফরাক্কাতে বিশেষ ক্যাম্প অফিস করে জাল নোটের কারবারীদের বিরুদ্ধে লাগাতার চার বছর ধরে অভিযান চালিয়ে এনআইএ বেশ কয়েক জন চাঁইকে গ্রেফতার করে। সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশেরও বেশ কয়েক জন প্রথম সারির চাঁই।

Advertisement

ধৃতদের কাছ থেকে সাড়ে ৬ লাখ টাকার জাল নোট পাওয়া গিয়েছে। —নিজস্ব চিত্র।

আরও পড়ুন: বাঁধ ভেঙে মহারাষ্ট্রে বানভাসি ৭ গ্রাম, মৃত ৬, নিখোঁজ অন্তত ২০​

আরও পড়ুন: সাত সকালে লাহৌর বিমানবন্দরে বন্দুকবাজের হামলায় নিহত ২​

২০১৬-র ৮ নভেম্বর দেশ জুড়ে নোটবন্দি হওয়ার পর গোয়েন্দারা আশা করেছিলেন জাল নোটের জোগান অনেকটাই কমবে। কিন্তু গোয়েন্দাদের ভুল প্রমাণিত করে নোটবন্দির তিন মাসের মধ্যেই নতুন দু’হাজার টাকার জাল নোট বাজারে নিয়ে আসে ওই কারবারীরা। তবে এনআইএ এবং এসটিএফের গোয়েন্দাদের নজর এড়াতে পাচারের রুট এবং পদ্ধতি বদল করতে থাকে জাল নোট চক্রীরা। এসটিএফের এক তদন্তকারী অফিসার বলেন, ‘‘মালদহের পুরনো পথ ছেড়ে এ বার নতুন করিডর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে জাল নোট আসছে।” তাঁর দাবি, মালদহ ছেড়ে জালনোটের কারবারীরা বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাও ব্যবহার করছে। ওই নয়া করিডর এখন চিন্তা বাড়িয়েছে গোয়েন্দাদের।

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement