কোভিড নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ! ফাইল ছবি
কোভিড মোকাবিলায় আপাতত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ কৌশলেই এগোতে চাইছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। অর্থাৎ, পরিস্থিতি বুঝেই ব্যবস্থা। তবে সংক্রমণের গতিবিধির দিকে কড়া নজর রাখতে হবে। সেখানে গাফিলতি করলে চলবে না। কোথাও করোনাভাইরাসের নতুন রূপ ঘাপটি মেরে রয়েছে কি না, তার খোঁজ চালিয়ে যেতে হবে। কোভিড বিশেষজ্ঞদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হল।
রাজ্যে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দশের নীচে থাকলেও হাফ ছেড়ে বাঁচার উপায় নেই। চিনে যে ভাবে সংক্রমণ বাড়ছে, আশঙ্কা, যে কোনও সময় ভারত তথা বাংলায় ভেলকি দেখানো শুরু করতে পারে করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার এ ব্যাপারে রাজ্যকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করেছে। রাজ্যও অতিসক্রিয় হয়েছে এ বিষয়ে। বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে করোনা নজরদারি কমিটি গড়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম ওই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন। বৃহস্পতিবার ওই কমিটিরই বৈঠক ছিল।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, রাজ্যে করোনার রেখচিত্র যে হেতু ঊর্ধ্বমুখী নয়, তাই আপাতত পরিস্থিতি বুঝে পদক্ষেপ করার পক্ষেই রায় দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। তবে স্বস্তিতে যে থাকার উপায় নেই, এ ব্যাপারে সকলেই একমত। তাই, সিদ্ধান্ত হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের নির্দেশ মতো সংক্রমিতদের নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হবে। সংক্রমণ রোখার পাশাপাশি ভাইরাসের রূপগুলি কী ভাবে চরিত্র পাল্টাচ্ছে, তা নজরে রাখা হবে।
সামনেই উৎসবের মরসুম। বড়দিন ও ইংরেজি নববর্ষ উপলক্ষে কয়েক দিন পরেই ভিড় বাড়বে রাস্তা-রেস্তরাঁয়। এই পরিস্থিতিতে কোভিড নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, গত বছরও ডিসেম্বরে বহু মানুষ কোভিডবিধির তোয়াক্কা করেননি। তার পরিণাম কারও অজানা নয়। এই বিষয়টি নজরে স্বাস্থ্যকর্তারা বলছেন, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা শূন্যে নামলেও তা পাকাপাকি ভাবে শূন্য হয়নি। করোনা পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, এমন কথা কোনও দিনই বলা হয়নি। সাধারণ মানুষ নিজে থেকেই বিধি মানার অভ্যাস ত্যাগ করেছেন। এখন আবার নতুন করে সংশয় তৈরি হওয়ায় আগাম সতর্কতা প্রয়োজন বলেই তাঁদের মত। বৈঠকেও কোভিডবিধিতে একটু একটু করে জোর দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলেই খবর স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে।