—প্রতীকী ছবি।
ইন্টারনেট, স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গেই বাড়ছে সাইবার অপরাধ বা সাইবার জালিয়াতিও। জেলা পুলিশের সাইবার থানাগুলিতে তদন্ত করার মতো পরিকাঠামো বা দক্ষ অফিসার থাকলেও বহু ক্ষেত্রে অপরাধের তদন্ত ঠিক মতো হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এ বার রাজ্য পুলিশে গঠন করা হল পৃথক সাইবার অপরাধ শাখা বা সিসিডব্লিউ। মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য। তাতে এক জন এডিজির নেতৃত্বে ৪৯৩ জন কাজ করবেন।
নবান্ন সূত্রের খবর, সিআইডির বিভিন্ন সাইবার অপরাধের শাখা চলে যাবে সদ্য গঠিত সিসিডব্লিউ-র অধীনে। রাজ্য পুলিশের ৩৪টি সাইবার থানা আগের মতো জেলা পুলিশ বা পুলিশ কমিশনারেটের অধীনে কাজ করলেও, তার মামলা বা তদন্ত সংক্রান্ত সব কিছুর নজরদারি করবে সিসিডব্লিউ। নতুন যে ১৮৮টি পদ তৈরি করা হয়েছে, সেখানে এডিজি, এক জন আইজি এবং এক জন ডিআইজি থাকবেন। থাকবে তিনটি পুলিশ সুপার পদও। সূত্রের দাবি, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিআইডির সাইবার পেট্রল সেল, সাইবার ক্রাইম সেল, সাইবার ফরেন্সিক এবং ডিজিটাল এভিডেন্স লাইব্রেরি, রাজ্য পুলিশের ইমারজেন্সি রেসপন্স সাপোর্ট সিস্টেম ওই নতুন সিসিডব্লিউ-র অধীনে কাজ করবে। সিআইডির সাইবার ও সফটওয়্যার বিশেষজ্ঞেরাও সিসিডব্লিউ-র অধীনে চলে যাবেন।
সিসিডব্লিউ গঠনে প্রশ্ন রয়েছে পুলিশের অন্দরেই। জেলা পুলিশের অধীনস্থ সাইবার থানাগুলি সিসিডব্লিউ-র আওতায় না আনায় তদন্তে তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন অনেকে। তাঁদের দাবি, জেলার ওই সাইবার থানা সিসিডব্লিউ-র অধীনে থাকলে তদন্তে গতি যেমন মিলত, তেমনই পরিকাঠামোর সাহায্যও মিলত।