Panchayat Election

বিধানসভায় পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনায় রাজি রাজ্য সরকার, জানালেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়

মণিপুরে লাগাতার হিংসা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার বিধানসভায় নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে। সেই প্রস্তাবের আলোচনা পর্বে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৩ ১৭:২৬
Share:

শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে আলোচনায় রাজি রাজ্য সরকার। বুধবার বিধানসভায় কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠক শেষে জানিয়ে দিলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। বিজেপি পরিষদীয় দলের তরফে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি প্রসঙ্গে প্রস্তাব এনে আলোচনা করার দাবি জানানো হয়েছে। যদিও পরিষদীয় মন্ত্রী বলেন, “পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে ওরা আলোচনা চেয়েছে। আমরাও চাই এই বিষয়ে আলোচনা হোক। তবে এই বিষয়টি ওদের আনা প্রস্তাবের ভিত্তিতে হবে না অন্য ফরম্যাটে হবে। সোমবার তা ঠিক করা হবে। ওই দিনই আবার বিএ কমিটির বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” বিজেপি পরিষদীয় দল চাইছে, সার্বিক ভাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ইস্যুতে আলোচনার মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েতের সন্ত্রাস এবং নারী নির্যাতন নিয়ে সরব হতে। মঙ্গলবার বিধানসভা ছাড়ার আগে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে গিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

Advertisement

আগামী সোমবার বিধানসভায় মণিপুরে লাগাতার হিংসা এবং নারী নির্যাতনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নিন্দা প্রস্তাব আনা হবে। সেই প্রস্তাবের আলোচনা পর্বে অংশ নেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু মণিপুরের বিষয়টি বিচারাধীন বলে, তা আলোচনার যোগ্য নয় বলে মনে করছে বিজেপি পরিষদীয় দল। তবে বিজেপি পরিষদীয় দল সূত্রে খবর, তারা মণিপুর সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে অংশগ্রহণ করতে পারেন। সেই আলোচনায় অংশ নেবেন বিরোধী দলনেতাও। মণিপুর নিয়ে নিন্দা প্রস্তাব প্রসঙ্গে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেবের বক্তব্য, “দেশের একটি অঙ্গরাজ্য গত তিন মাস ধরে অশান্ত রয়েছে। সেখানে নারী নির্যাতনের যে ঘটনা দেখা গিয়েছে তাতে সারা দেশ শিউরে উঠেছে। তাই এমন একটি বিষয় নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় আলোচনা হওয়া অত্যন্ত জরুরি বলেই আমরা মনে করি।’’

প্রসঙ্গত, বুধবার অধিবেশনের শুরুতেই নারী নির্যাতন ইস্যু নিয়ে প্রস্তাব এনেছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু প্রস্তাবটি আনার পরেই খারিজ হয়ে গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে পরে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্পিকারের টেবিল পোস্ট অফিস নয়। যখন যে খুশি চাইবে চিঠি দিয়ে যাবে তাই নিয়ে আলোচনা হবে, এটা হতে পারে না। আলোচনার একটা নির্দিষ্ট নিয়ম আছে। নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে যদি ওরা আলোচনা চায়, তা হলে পদ্ধতি মেনে সেটা জমা করুক অবশ্যই তখন বিবেচনা করে দেখব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement