রাজ্যে চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। রোগীর সংখ্যা অনুপাতে তা যথেষ্ট কম। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে সমস্যা আরও বেশি। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নার্সদের আরও প্রশিক্ষণ দিয়ে চিকিৎসা পরিষেবার ‘প্রাথমিক’ কাজে লাগানোর কথা গত বছরের মাঝামাঝি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো এ বার কমিউনিটি হেলথ্ অফিসার (সিএইচও) পদে বিএসসি এবং পোস্ট-বেসিক বিএসসি নার্সিং পাশ করা নার্সদের প্রশিক্ষণ দিয়ে নিয়োগ করবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।
শুক্রবার এ বিষয়ে রাজ্যের জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের তরফে সমস্ত জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের কাছে প্রশিক্ষণের নিয়মাবলী, সূচি ও ব্যয় সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানানো হয়েছে। দফতর সূত্রের খবর, তিন সপ্তাহের ওই কোর্সে (পাঠ্যক্রমে) থাকবে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণও। কোর্স শেষে ওই সিএইচও-দের সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতে নিযুক্ত করা হবে। গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিয়ে নন-কমিউনিকেবল্ ডিজ়িজ় প্রতিরোধের পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তার জন্য চালু হয়েছে টেলিমেডিসিন পরিষেবা।
সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলি কী ভাবে পরিচালনা করা হবে, তার সামগ্রিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ পাবেন সিএইচও-রা। জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা প্রদান থেকে শুরু করে সাধারণ রোগের ক্ষেত্রে মানুষকে ঠিক পরামর্শ দেওয়া বা ওষুধ খাওয়ার সুপারিশ করতে পারবেন। প্রাথমিক পর্যায়ে রাজ্যের ২৫ টি জেলা (স্বাস্থ্য জেলা-সহ) মিলিয়ে ৭০৪ জন প্রশিক্ষণ পাবেন। এর মধ্যে সব থেকে বেশি প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে মুর্শিদাবাদ (৮৫), পশ্চিম মেদিনীপুর (৭৬), পূর্ব বর্ধমান (৬৩) ও বাঁকুড়ায় (৫৬)।