WB Panchayat Election 2023

আপনি কি পদত্যাগ করছেন? প্রশ্নের উত্তরে কী বললেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব?

কমিশনার পদে রাজ্যপাল ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই নবান্ন রাজীবকে কমিশনার পদে বসিয়েছিল। এর পর রাজীবের যোগদান রিপোর্ট যায় রাজভবনে। কিন্তু সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়ে দেন সিভি আনন্দ বোস।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৩ ১১:৩২
Share:
state election commissioner Rajiv Sinha dismissed his resignation speculation

রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তাঁর যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠিয়ে দেওয়ার পরেই জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে যে, পদত্যাগ করতে পারেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ। বৃহস্পতিবার অবশ্য পদত্যাগের সম্ভাবনা খারিজ করে দিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের তরফে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি কি ‘স্টেপ ডাউন’ (পদত্যাগ) করছেন? কমিশনের দফতরে ঢোকার আগে একটি বাক্যের উত্তরে রাজীব বলেন, “এমন কোনও তথ্য পাইনি।” যা থেকে মনে করা হচ্ছে, তাঁর পদত্যাগ সংক্রান্ত জল্পনায় আপাতত জল ঢেলে দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার।

Advertisement

আগে যা ঘটেছে

বুধবার সন্ধ্যায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নানা প্রশ্নের মুখে ফেলার পর দ্রুত ৮০০ কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহের যোগদান রিপোর্ট (জয়েনিং রিপোর্ট) ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কমিশনার পদে রাজ্যপাল ছাড়পত্র দেওয়ার পরেই নবান্ন রাজীবকে কমিশনার পদে বসিয়েছিল। এর পর রাজীবের যোগদান রিপোর্ট যায় রাজভবনে। কিন্তু সই না করেই তা ফেরত পাঠিয়ে দেন আনন্দ বোস।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, বুধবারই কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম তাঁর পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন, আদালতের কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত নির্দেশ পালন করতে না চাইলে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজ্যপালের কাছে গিয়ে ইস্তফা দিতে পারেন। তার পরেই রাতে জানা যায়, রাজীবের যোগদান রিপোর্ট ফেরত পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রশ্ন ওঠে, এর পরেও কি কমিশনার পদে থাকতে পারবেন রাজীব? পঞ্চায়েত ভোটে কি অনিশ্চয়তা দেখা দেবে? যদিও ভোটপ্রক্রিয়ায়— মনোনয়ন জমা দেওয়া, তা প্রত্যাহার করা, এ সব পর্ব পেরিয়ে ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত প্রার্থীর সংখ্যা প্রকাশ করে ফেলেছে রাজীবের নেতৃত্বাধীন রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর্বে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হিংসার ঘটনা ঘটে। সেই আবহে গত শনিবার রাজীবকে রাজভবনে ডেকে পাঠিয়েছিলেন রাজ্যপাল বোস। কিন্তু ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে সে দিন যাননি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যপালের ডাকে সাড়া না দেওয়াতেই কি যোগদান রিপোর্ট ফেরত পাঠানো হল? জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদে এক জনের নামে অনুমোদন দেওয়ার পরেও তাঁর যোগদান রিপোর্ট এ ভাবে ফেরত পাঠানোকে ‘নজিরবিহীন’ বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহালদের একাংশ। সংবিধান বিশেষজ্ঞদেরও একাংশের মত, অনুমোদন দেওয়ার পর এ ভাবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে সরাতে পারেন না রাজ্যপাল। সন্দিহান রাজনৈতিক দলগুলিও। যদিও বৃহস্পতিবার জয়েনিং রিপোর্ট ফেরত সংক্রান্ত তথ্য তাঁর কাছে আসেনি বলে জানালেন রাজীব।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement