প্রয়োজনে ধর্মঘটের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির ২০তম রাজ্য সম্মেলনে। ফাইল চিত্র।
শূন্য পদে স্বচ্ছতা বজায় রেখে সরকারি কর্মী নিয়োগ, ৩৫% মহার্ঘ ভাতা (ডিএ), চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী কর্মীদের সমকাজে সমবেতনের দাবিতে ‘নবান্ন ঘেরাও’ কর্মসূচির পরিকল্পনা নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী সমিতি সমূহের রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি। প্রয়োজনে ধর্মঘটের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে কো-অর্ডিনেশন কমিটির ২০তম রাজ্য সম্মেলনে। জলপাইগুড়িতে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে আজ, সোমবার শেষ হবে রাজ্য সম্মেলন।
সম্মেলনের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে — ‘প্রশাসনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের উপরে ভয়ঙ্কর আক্রমণ চলছে। বিশেষ করে, রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সদস্য, নেতা, কর্মীদের উপরে চলছে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার। প্রশাসনের আমলাদের একাংশ সরাসরি শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন’।
সম্মেলনে সর্বভারতীয় কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি সুভাষ লাম্বা আন্দোলনকে শক্তিশালী করার আবেদন জানিয়ে বলেন, ‘‘বিবেকানন্দ বলতেন— ওঠো, জাগো, লক্ষ্য স্থির রেখে লড়াই করো। কর্মচারীদের অগণতান্ত্রিক পথে সরকার বদলি করছে। শূন্য পদে নিয়োগ বন্ধ।’’
সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক বিজয় শঙ্কর সিংহ বলেন, ‘‘চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের সংগঠিত করার লক্ষ্যে সম্মেলনে প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। সমকাজে সমবেতন, শূন্য পদে স্বচ্ছতা বজায় রেখে কর্মী নিয়োগের দাবিতেও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে বকেয়া ৩৫% ডিএ দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে। দাবি মানা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব আমরা।’’ কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক বিশ্বজিৎ গুপ্ত চৌধুরী বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রায় আড়াই লক্ষ অস্থায়ী চুক্তিভিত্তিক কর্মী রয়েছেন। অসংগঠিত এই কর্মচারীদের সংগঠিত করে অধিকার রক্ষার আন্দোলন তীব্র করার পরিকল্পনা হচ্ছে।’’
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতেই কো-অর্ডিনেশন কমিটি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে বলে পাল্টা দাবি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের। সংগঠনের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি সঞ্জয় সিংহ রায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার কর্মচারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। করোনা-পরিস্থিতিতে কোনও কর্মচারীদের বেতন বন্ধ করেনি রাজ্য সরকার। বকেয়া ডি এ-ও রাজ্য দেবে।’’