সাঁতরাগাছিতে পুলিশ এবং বিজেপিকর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে।
নবান্ন অভিযানে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এমনটাই অভিযোগ বিজেপির। কাঁদানে গ্যাস, জলকামান ছুড়ে ভেস্তে দেওয়া হয়েছে তাদের মিছিল। দলীয় সূত্রে খবর, পুলিশের এই ভূমিকা নিয়ে দিল্লিকে রিপোর্ট পাঠাবেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।
মঙ্গলবার মিছিল শুরুর আগেই রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে হাওড়া থেকে আটক করে শিবপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সূত্রের খবর, লকআপে থাকা দুই নেতাকে ফোন করে কথা বলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নড্ডা। সেখানেই নড্ডাকে পুলিশি নিগ্রহ নিয়ে অভিযোগ করেন রাজ্যের দুই শীর্ষ বিজেপি নেতা।
নবান্ন অভিযানে পুলিশের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। পুলিশকে পাল্টা ঢিল ছোড়ার অভিযোগ উঠেছে বিজেপিকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, রাজ্যে যখন গরু বা কয়লা পাচার হয়, তখন পুলিশ থাকে না। অথচ বিজেপির নবান্ন অভিযানের দিন এত পুলিশ কী ভাবে এল! তাঁর প্রশ্ন, ‘‘পড়শি রাজ্য থেকে কি পুলিশ নিয়ে আসা হয়েছে?’’
তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ যদিও পাল্টা দিয়েছেন দিলীপকে। তাঁর কথায়, ‘‘এত হাঁকডাক করেও এত কম লোক! সব মিলিয়ে তো হবে মোটে ৯১৮ জন। তাই নিয়ে নাকি নবান্ন অভিযানে যাবে বিজেপি!’’
সাঁতরাগাছিতে পুলিশ এবং বিজেপিকর্মীদের খণ্ডযুদ্ধ বাধে। পুলিশকে লক্ষ্য করে বিজেপিকর্মীরা ঢিল ছুড়েছে বলে অভিযোগ। বিক্ষোভ রুখতে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। বিজেপির অভিযোগ, পুলিশি তাণ্ডবে আহত হয়েছেন তাদের বেশ কয়েক জন কর্মী। শুভেন্দু অভিযোগ করেছেন, মহিলা পুলিশকর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ডোন্ট টাচ মাই বডি। ইউ আর অ্যান উম্যান অ্যান্ড আই অ্যাম মেল (আপনি মহিলা এবং আমি পুরুষ)।’’
অন্য দিকে, মহাত্মা গাঁধী রোডে পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরানো হয়েছে। বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার সর্বভারতীয় প্রধান অমিত মালবীয় দাবি করেন, তৃণমূলের ক্যাডাররাই ভিড়ে মিশে পুলিশের দিকে পাথর ছুড়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এ সব হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কুণাল যদিও পাল্টা বলেন, ‘‘নিজেদের কর্মসূচির ব্যর্থতা ঢাকতেই এ সব করেছে তৃণমূল।’’