রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিএড কলেজের কর্নধারদের বিক্ষোভ বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে। —নিজস্ব চিত্র।
অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ রাজ্যের বিএড বিশ্ববিদ্যালয়।
শুক্রবার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে ধর্নায় বসলেন ছাত্র ভর্তির অনুমোদন না পাওয়া বিএড কলেজগুলির মালিক ও আধিকারিকেরা। তাঁদের প্রশ্ন, যে সব পড়ুয়াকে তাঁরা ইতিমধ্যেই নথিভুক্ত করে ফেলেছেন, অথচ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁদের রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে না, তাঁদের কী হবে? পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের এক বিএড কলেজের সভাপতি বাদলচন্দ্র পালের অভিযোগ, ‘‘আমাদের কলেজে ১০০ জনের মতো নতুন পড়ুয়াকে নথিভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন হয়নি। এ বার এঁদের পড়াশোনোর দায়িত্ব নিক বিশ্ববিদ্যালয়। নতুন পড়ুয়া ভর্তি না-হলে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের বেতন কী ভাবে দেব? কলেজ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না। তাতে নতুন, পুরনো সব পড়ুয়ারাই সমস্যায় পড়বেন।’’
অভিযোগ, ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশন (এনসিটিিই)-এর বিধি অনুযায়ী রাজ্যের ২৫৩টি বেসরকারি বিএড কলেজে শিক্ষক ও পড়ুয়ার অনুপাত, ফায়ার লাইসেন্স-সহ বেশ কিছু ব্যবস্থা না-থাকায় তাদের পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য লিঙ্ক দেয়নি বিএড বিশ্ববিদ্যালয়। ফলে ওই কলেজগুলিতে নতুন ছাত্র ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, যাঁরা ছাত্র ভর্তির লিঙ্ক পেয়েছেন, তাঁরা বেআইনি ভাবে বিএড বিশ্ববিদ্যালয়কে টাকা দিয়ে লিঙ্ক পেয়েছেন। যদিও বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এর কোনও প্রমাণ দিতে পারেনি কেউ।’’
সোমা জানিয়েছেন, বিএড কলেজের মালিকদের বৈঠকের একটি ভাইরাল ভিডিয়োতে (যার সত্যতা আনন্দবাজার যাচাই করেনি) দেখা যাচ্ছে, ভর্তির অনুমোদন বাতিলের প্রেক্ষিতে কলেজগুলির মালিকেরা জঙ্গি আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। বৃহস্পতিবারেই নোটিস দিয়ে এ দিন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।
শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘দফতর ঠিকঠাক চালাতে না পারলে তালা লাগিয়ে চলে যেতে পারি না। তার থেকে পদত্যাগ করে চলে যাওয়া ভাল। একে সমর্থন করছি না। দরকার হলে আইনি পরামর্শ নেব।’’ রাজ্য বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজ্য সরকার মনোনীত কোর্ট মেম্বার মনোজিৎ মণ্ডল বলেন ‘‘কোনও রকম কর্মসমিতির বৈঠক না ডেকে এ ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত অনৈতিক।’’