বুধবারের বাংলা বন্ধে রেল অবরোধের চেষ্টা বিজেপি সমর্থকদের। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে জাতীয় কংগ্রেস আজ পশ্চিমবঙ্গে নবান্ন অভিযান ও ধর্মঘট ঘিরে হিংসার ব্যাপারে বিজেপিকে আক্রমণ করল। প্রশ্ন তুলল, বিজেপির দ্বিচারিতা নিয়ে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, কলকাতায় আর জি কর হাসপাতালের ঘটনা নিয়ে বিজেপি রাস্তায় নেমে পড়েছে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশ থেকে মহারাষ্ট্রের নারী নির্যাতনের ঘটনায় চুপ। নারী নির্যাতন কি তা হলে বিজেপির কাছে শুধুই রাজনৈতিক ফায়দা তোলার অস্ত্র? বিরোধী ঐক্যের স্বার্থে কংগ্রেসের দিক থেকে এটাকে মৈত্রীর বার্তা হিসেবেই দেখছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব।
এর আগে রাহুল গান্ধী আর জি করের ঘটনায় ‘স্থানীয় প্রশাসনের’ ব্যর্থতার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। তার পরে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রশ্ন তোলেন, কংগ্রেসশাসিত রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা হলে কী হয়? রাহুল কেন এ বিষয়ে মমতার সঙ্গে কথা বললেন না, তা নিয়েও তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছিল। সেই দূরত্ব মুছে তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়ে আজ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপ-দলনেতা প্রমোদ তিওয়ারি নবান্ন অভিযান ঘিরে বিজেপির কার্যকলাপের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও আন্দোলন শান্তিপূর্ণ হওয়া উচিত। কিন্তু বিজেপি কলকাতায় গুন্ডামি করছে। পুলিশের উপরে হামলা করছে। আমরা চাই, অপরাধীদের শাস্তি হোক। কিন্তু তদন্তের ভার তো সিবিআইয়ের হাতে। খামতি থাকলে সেটা সিবিআইয়ের। তা হলে বিজেপির আসল
উদ্দেশ্য কী?’’
‘ছাত্র সমাজ’-এর নামে নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়ার পরে প্রথমে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী তাতে যোগ দিতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন। পরে এর পিছনে বিজেপি রয়েছে টের পেয়ে সরে দাঁড়ান। বৃহস্পতিবার প্রদেশ কংগ্রেস নিজেই কলকাতায় মিছিল করছে। কংগ্রেসের জনসংযোগ দফতরের প্রধান পবন খেরার প্রশ্ন, ‘‘আমরা অহিংস আন্দোলনের পক্ষে। বিজেপি নারী নির্যাতনের ঘটনায় বেছে বেছে বিক্ষোভ দেখায়। কলকাতায় বিজেপি হিংসা ঘটাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশে-মহারাষ্ট্রে তারা চুপ। কেন্দ্রের শাসক দল হিসেবে বিজেপির উচিত ছিল নারী নির্যাতন রোখা, আইন কঠোর করা নিয়ে সকলের সঙ্গে আলোচনা করা।” কংগ্রেস মুখপাত্র শামা মাহমুদেরও অভিযোগ, ‘‘মহারাষ্ট্রে নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের বিজেপি বহিরাগত বলছে। কলকাতায় সেই বিজেপিই পুলিশের উপরে হামলা করছে। যদিও ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই!’’