পীযুষ ভুঁইয়ার ভাষণের সময় ভেঙে পড়ল মঞ্চ। —নিজস্ব চিত্র।
কৃষি আইন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে চলছিল শাসক দলের জনসভা। সভার মঞ্চ তখন রীতিমতো সরগরম। ভাষণ দিচ্ছেন একের পর এক তৃণমূল নেতা। এক নেতার ভাষণ চলাকালীন হঠাৎই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল গোটা মঞ্চ। ঘোর কাটতেই ওই জনসভা ছেড়ে সরে পড়লেন সকলে। মাঝপথেই মুলতুবি করতে হল সভা। মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি বলে দাবি তৃণমূলের।
মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া এলাকায় একটি জনসভার আয়োজন করেছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃষি নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই ওই সভা হয়। মূল উদ্যোক্তা ছিলেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস। তাঁর ডাকে মঞ্চে ছিল নেতানেত্রীদের ভিড়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, জনসভার মঞ্চে ছিলেন আবু সুপিয়ান থেকে শুরু করে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বহু নেতানেত্রীই। বেশ কয়েক জন উৎসাহী তৃণমূল সমর্থকও মঞ্চে উঠে আসেন।
আরও পড়ুন: তিন মাসে দ্বিতীয় বার করোনা আক্রান্ত চিকিৎসক, হুগলিতে এই প্রথম
স্থানীয় সূত্রে খবর, স্বদেশ দাস-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার পর মঞ্চে ভাষণ শুরু করেন পীযুষ ভুঁইয়া। তিনি যখন মমতার আন্দোলন নিয়ে উপস্থিত সমর্থকদের উজ্জীবিত করছিলেন এবং যাঁরা নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশ্যে বলতে শুরু করেছিলেন, সে সময়ই বিপত্তি ঘটে। হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মঞ্চটি। ঘটনার পর সভা মুলতুবি করে দেওয়া হয়।
এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা আবু সুপিয়ান বলেন, ‘‘জনসভার জন্য মঞ্চ বাঁধা হয়েছিল। সেখানে দলের বহু উৎসাহী কর্মী উঠে আসায় এই বিপত্তি হয়েছে। তবে কারও চোট লাগেনি।’’