SSC

Staff selection Commission: গ্রুপ ডি কর্মী নিয়োগের দায়িত্বে স্টাফ সিলেকশন

চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার যে-বোর্ড তৈরি করেছিল, এই সিদ্ধান্তের পরে তা কার্যত অবলুপ্তির পথে এগিয়ে গেল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০২২ ০৭:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি

স্কুল স্তরে ‘গ্রুপ ডি’ বা চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষাকর্মী নিয়োগে অনিয়ম নিয়ে তুমুল হইচই ও মামলা-মকদ্দমা চলছে বেশ কিছু দিন ধরে। ওই সব নিয়োগ হয়েছে এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে। রাজ্য সরকার এ বার শিক্ষা দফতরের সম্পর্কহীন প্রশাসনিক ক্ষেত্রে ‘গ্রুপ ডি’ পদে কর্মী নিয়োগের দায়িত্ব দিল অন্য এক এসএসসি-কে, যাদের পুরো নাম স্টাফ সিলেকশন কমিশন। নবান্ন সূত্রের খবর, সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব পাশ হয়েছে। প্রশাসনিক কর্তাদের অনেকের ধারণা, চতুর্থ শ্রেণির পদে নিয়োগের জন্য রাজ্য সরকার যে-বোর্ড তৈরি করেছিল, এই সিদ্ধান্তের পরে তা কার্যত অবলুপ্তির পথে এগিয়ে গেল। একই সঙ্গে নতুন করে এসএসসি-ও গঠন করতে হবে সরকারকে।

Advertisement

প্রশাসনিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, নিয়োগ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে সরকারকে যে-ভাবে বারংবার ধাক্কা খেতে হচ্ছে, সেই দিক থেকে এই পদক্ষেপ খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।

২০১৬ সালে ‘গ্রুপ ডি রিক্রুটমেন্ট বোর্ড’ তৈরি করেছিল রাজ্য সরকার। সেই সময়ে বিভিন্ন দফতর মিলিয়ে ৬০ হাজার শূন্য পদে নিয়োগের সম্মতি দিয়েছিল রাজ্য। যোগ্য প্রার্থী বাছাইয়ের দায়িত্ব বর্তায় বোর্ডের উপরে। স্থির হয়, বছরে ১০%, অর্থাৎ ৬০০০ কর্মী নিয়োগ করা হবে। ওই সংখ্যক কর্মী নিয়োগ হবে পরবর্তী প্রতি বছরেও। কম্পিউটার-নির্ভর পরীক্ষা গ্রহণে উপযুক্ত সংস্থা বাছাইয়ে জাতীয় স্তরে টেন্ডার বা দরপত্র ডাকা হয়। সেই পদ্ধতিতে এই কাজের জন্য নির্বাচিত হয়েছিল রাজ্যেরই সংস্থা ওয়েবেল। পরের দেড় বছর ধরে প্রস্তুতি চালিয়ে ১০ হাজার স্কুল নির্বাচন করে ২০১৭ সালে পরীক্ষার দিন ঘোষণা করে বোর্ড।

Advertisement

অনলাইনে পুরো প্রক্রিয়াটি চালানোর দরুন ২৪.৮৬ লক্ষ আবেদন গ্রহণ করে বোর্ড। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের মাধ্যমে পরীক্ষা পরিচালনা করা হয়। পরীক্ষা হয় ওয়েমার-শিটের মাধ্যমে। উত্তরপত্র যাচাইয়ের পরে ফলাফল সিডি-তে তুলে স্ট্রংরুমে রাখা হয়। তার ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা প্রস্তুত করে বোর্ড। চার মাস ধরে ইন্টারভিউয়ের পরে বাছাই প্রার্থীদের প্যানেল প্রস্তুত করে তা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। তার ভিত্তিতে ৫৬০০ জনকে নিয়োগের প্রস্তাব সরকারকে পাঠায় বোর্ড। তাঁদের নিয়োগ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রশাসনিক সূত্রের খবর, ২০১৮ সালে বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত আর কোনও পরীক্ষা নেওয়া হয়নি। ফলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, অসমাপ্ত কাজ শেষ করার সবুজ সঙ্কেত এ বার দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

বিশেষজ্ঞ মহল জানাচ্ছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হওয়ার ফলে এসএসসি-র চেয়ারম্যান নিয়োগ-সহ তার পুরো পরিকাঠামো দ্রুত তৈরি করবে রাজ্য। সেই কাজ শেষ হওয়ার পরেই নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। নবান্ন সূত্রের খবর, এ দিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে হাজার আড়াই আশাকর্মী নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement