ফাইল চিত্র।
তদন্তে নেমেই এসএসসি বা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘ডেটা রুম’ বা তথ্যকক্ষ বন্ধ করে দিয়েছিল সিবিআই। অথচ উচ্চ প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সেই তথ্যকক্ষ না-খুললেই নয়। এই অবস্থায় ডেটা রুম খোলার জন্য ন্যাশনাল ইনফর্মেটিক্স সেন্টার (এনআইসি)-কে চিঠি দিল এসএসসি।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী এনআইসি এবং সিবিআইয়ের উপস্থিতিতে ডেটা রুম খুলে কাজ করতে হবে বলে জানান এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। তাঁর দাবি, সিবিআই আধিকারিকেরা প্রস্তুত আছেন। ডেটা রুম খোলার সময় উপস্থিত থাকতে এনআইসি-কে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করা হয়েছে। সিদ্ধার্থবাবু বলেন, ‘‘ডেটা রুম খুললে উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের জন্য লিঙ্ক আপলোড করা যাবে।’’ এসএসসি-র আধিকারিকেরা জানান, কয়েক দিনের মধ্যেই উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, নবম থেকে দ্বাদশ, প্রাথমিক টেট এবং অন্য কয়েকটি ক্ষেত্রে চাকরি পাওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেও নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। কিন্তু উচ্চ প্রাথমিকের ক্ষেত্রে আট বছর ধরে নিয়োগ প্রক্রিয়াটাই সম্পূর্ণ করা হয়নি। তাঁরাই সব থেকে বেশি বঞ্চিত বলে ওই প্রার্থীদের অভিযোগ।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘গত ১৮ মে কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, উচ্চ প্রাথমিকের ইন্টারভিউয়ে ডাক না-পাওয়া যে-সব প্রার্থী (১০৯৮ জন) নানা কারণে নথি আপলোড করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের নথি আগে আপলোড করতে দিতে হবে। সেই সঙ্গে ইন্টারভিউয়ে প্রথমে ডাক না-পাওয়া যে-সব প্রার্থী (১৪৪৮ জন) পরে শুনানিতে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন, জমা দিতে হবে তাঁদের তথ্য। ডেটা রুম খুলে গেলে ওই ১০৯৮ জন প্রার্থী খুব দ্রুত তাঁদের নথি আপলোড করে দিতে পারবেন।’’
উচ্চ প্রাথমিকের চাকরিপ্রার্থীদের আশা, এই লিঙ্ক আপলোড করে দেওয়ার পরে দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে এবং সে-ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকবে না।