ফাইল চিত্র।
সোনা কার? লাখ লাখ নগদ টাকাই বা কার? এই দু’টি প্রশ্নই তিরের মতো ধেয়ে এসেছিল পুলিশের গাড়ি থেকে আদালত চত্বরে নামা বুশ শাট পরা মাথা নিচু করা লম্বা চেহারাটার দিকে। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ, তাঁর গড়া কমিটির মাথায় থাকা শান্তিপ্রসাদ সিংহকে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হয়েছে। তার ২৪ ঘণ্টা আগে তাঁর বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেড় কেজি ওজনের সোনা আর ৫০ লক্ষ টাকা। পাওয়া গিয়েছে দেড় হাজার এসএসসি প্রার্থীর নামের তালিকাও। আদালত চত্বরে শান্তিপ্রসাদকে দেখেই তাই প্রশ্ন করা হয় টাকা আর সোনা কার, তা নিয়ে। জিজ্ঞাসা করা হয়, ওই টাকা এবং সোনা কি আদতে তাঁরই? জবাবে অবশ্য মুখে রা কাড়েননি শান্তিপ্রসাদ।
বৃহস্পতিবার আদালত চত্বরে পুলিশের গাড়ি থেকে নামার পরেই তাঁকে লক্ষ্য করে ওই প্রশ্ন করেন উপস্থিত সাংবাদিকেরা। জবাবে তাঁদের দিকে একবার তাকানওনি এএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন প্রধান শান্তিপ্রসাদ। মুখ নিচু করে হনহনিয়ে হেঁটে তিনি সোজা ঢুকে যান আদালতের ভিতরে। কোনও কথা বলেননি তিনি।
সিবিআই সূত্রের খবর, বুধবার শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে যে সমস্ত নথি পাওয়া গিয়েছে, তার একটিতে ১৫০০ চাকরিপ্রার্থীর নাম ছিল। আর একটি নথিতে সম্পত্তি সংক্রান্ত একটি নথিও মেলে। তাতে শান্তিপ্রসাদ এবং তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল। অবশ্য সিবিআই সরাসরি শান্তিপ্রসাদের নাম করেনি। তারা শুধু বলেছিল, এসএসসির প্রাক্তন এক উপদেষ্টার বাড়ি থেকে সোনা, নগদ টাকা এবং নথি উদ্ধার হয়েছে। তবে সেই উপদেষ্টা যে শান্তিপ্রসাদই, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি। কারণ তাঁর বাড়িতেই সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেছিল সিবিআই।
গত ১০ অগস্ট এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এসএসসির প্রাক্তন দুই উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ এবং অশোক সাহাকে গ্রেফতার করে সিবিআই। এই সংক্রান্ত মামলায় সিবিআই যে এফআইআর দায়ের করেছিল তাতে প্রথম নামই ছিল শান্তিপ্রসাদের।