পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
স্কুল নিয়োগ দুর্নীতিতে বেসরকারি বিএড এবং ডিইএলএড কলেজ থেকে টাকা লেনদেনের প্রসঙ্গ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তকারীদের একাংশের প্রশ্ন, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গে কি ওই বেসরকারি শিক্ষণ কলেজের টাকার সম্পর্ক আছে? এ বিষয়ে তাঁরা এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) সূত্রের দাবি।
গত জুলাই মাসে অর্পিতার টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটে হানা দিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছিল ইডি। সেই হিসাব-বহির্ভূত টাকা কীসের তা নিয়ে এখনও পুরোপুরি রহস্য কাটেনি। যদিও ইডি সূত্রের দাবি, পার্থ-ই ওই টাকা রেখেছিলেন বলে জেরায় অর্পিতা দাবি করেছেন।
ইডি সূত্রের দাবি, শিক্ষণ কলেজের সঙ্গে টাকা লেনদেনের মধ্যে শিক্ষা দফতরের এক মহিলা অফিসারের নামও জড়িয়েছে। পার্থ-ঘনিষ্ঠ ওই মহিলা অফিসারের মাধ্যমে টাকা লেনদেন হয়েছে বলেও ইডি-র কানে অভিযোগ পৌঁছেছে। ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে পর্যন্ত ওই লেনদেনে সংশ্লিষ্ট মহিলা অফিসারের ভূমিকা নিয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে। তবে এখনও এ ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশে নারাজ ইডি-র কর্তারা।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি তাপস মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদে বহু নতুন তথ্য উঠে এসেছে বলে ইডি-র একটি সূত্রের দাবি। এর পাশাপাশি বহু শিক্ষণ কলেজের কর্ণধার এবং কর্তাদের বয়ানও নথিবদ্ধ করা হয়েছে। তা থেকেই দুর্নীতি চক্রের বাকি সদস্যদের সম্পর্কে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রের মতে, শিক্ষা দফতরের অন্দরে দুর্নীতির চক্র তৈরি হয়েছিল। তাতে আধিকারিক এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, উভয়েই ছিল। সে ক্ষেত্রে ওই মহিলা অফিসার ছাড়া আরও কোন কোন আধিকারিক জড়িত ছিলেন, খুঁজে দেখা হচ্ছে।