পাটুলিতে অর্পিতার নখ-নকশা বিপণির দোকানের সামনে ইডি। নিজস্ব চিত্র।
পাটুলিতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি নখ-নকশার বিপণি সিল করে দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সেই সঙ্গেই ওই বিপণি যে অট্টালিকার অংশ, সেই অট্টালিকার মালিককে ডেকেও টানা জেরা করে ইডি। ঘটনাচক্রে, অট্টালিকার মালিক ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ দাস।
শুক্রবার শেষ বারের মতো খোলা হয়েছিল পাটুলিতে নখ-নকশার বিপণি। তার পর থেকে টানা বন্ধ। মঙ্গলবার দুপুরের পর সেখানেই পৌঁছে গেলেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, ওই বিপণির মালিক অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ঘণ্টা তিনেক সেই বিপণিতেই ছিলেন ইডি আধিকারিকরা। তারই মধ্যে ইডি ডেকে পাঠায় এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর প্রসেনজিৎকে। ইডি জানতে চায়, সেই দোকান কেনা, ভাড়া বা লিজ নেওয়ার ক্ষেত্রে কি অর্পিতাকে কোনও ধরনের সহায়তা দিয়েছিলেন কাউন্সিলর? কারণ, ওই বাড়িটি প্রসেনজিতের। সূত্রের খবর, এ বিষয়ে ইডির কাছে নির্দিষ্ট তথ্য রয়েছে। এই সূত্রেই মঙ্গলবার প্রসেনজিৎকে ডেকে ম্যারাথন জেরা করেন ইডির আধিকারিকরা। আড়াই ঘণ্টা পর প্রসেনজিৎ বেরিয়ে যান। কিন্তু তিনি সংবাদমাধ্যমকে কোনও কথা বলেননি। ফলে জানা যায়নি ইডি আধিকারিকদের কী কী প্রশ্নের মুখে তাঁকে পড়তে হয়েছিল।
এরই মধ্যে অর্পিতার নখ-নকশা বিপণিতে ঢুকে তল্লাশি চালানো হয়। দোকান থেকে বেরোনোর সময় ইডি আধিকারিকদের হাতে বেশ কিছু নথিপত্র দেখতে পাওয়া যায়। বেরোনোর পর ইডির দল দোকানটির শাটার নামিয়ে তাতে একটি নোটিস ঝুলিয়ে দিয়ে যান। যে নোটিসে লেখা আছে দোকানটি সিল করে দেওয়ার কথা।