গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি-র পর এ বার কি চাকরি হারাতে চলেছেন গ্রুপ সি কর্মীদের একাংশও? কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশমতো ২০১৬-এর গ্রুপ সি পদের চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে যাঁদের ওএমআর শিটে গরমিল ছিল, তার তালিকা প্রকাশ করে দিল এসএসসি। বৃহস্পতিবারই নিজেদের ওয়েবসাইটে এই তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, মোট ৩,৪৭৭ জনের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তার মধ্যে ৩,১১৫ জনের ওএমআরেই গোলমাল ধরা পড়েছে। মাত্র ৩৬২ জনের ওএমআরে কোনও বিকৃতি নেই।
২০১৬-এর গ্রুপ সি পদের আরএলএসটি পরীক্ষায় যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী বসেছিলেন তাঁদের অনেকের ওএমআর শিটে গোলমাল রয়েছে, এই মর্মে হাই কোর্টে মামলা হয়েছিল। আদালত এসএসসিকে নির্দেশ দিয়েছিল, সন্দেহজনক ওএমআর শিট আবার খতিয়ে দেখে তা প্রকাশ করতে হবে সর্বসমক্ষে। সেই অনুযায়ী গ্রুপ সি পদের চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট আবার খতিয়ে দেখতে বসে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
এসএসসি সূত্রে খবর, তারা মোট ৩,৪৭৭টি ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখেছে। তার মধ্যে ৩,১১৫ জনের ওএমআর শিটে গরমিল দেখতে পাওয়া গিয়েছে। বাকি ৩৬২টি ওএমআর শিটে কোনও গরমিল নেই। আদালতের নির্দেশেই ওই ৩১১৫ জনের নাম বৃহস্পতিবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ৩,১১৫ জনের মধ্যে এ রকম ৭০-৮০ জন রয়েছেন যাঁদের নম্বর কমানো হয়েছিল। এসএসসি চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার বলেন, ‘‘আদালতের নির্দেশে তালিকা ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে কী পদক্ষেপ হবে তা আদালত জানাবে।’’
গত শুক্রবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, আড়ালে থাকা এবং নম্বর কারচুপি করা উত্তরপত্রগুলিকে অবিলম্বে এসএসসিকে নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। এ কাজ সম্পূর্ণ করতে এসএসসিকে সময়ও বেঁধে দেন বিচারপতি। জানান, ৯ মার্চের মধ্যে গ্রুপ সি-র সন্দেহজনক ওএমআর শিট পরীক্ষা করে নিজস্ব ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে। সেই অনুযায়ী বৃহস্পতিবার বিকেলেই সেই তালিকা প্রকাশ করে দিল এসএসসি।
এর আগে নবম-দশম এবং গ্রুপ ডি চাকরির ক্ষেত্রে ওএমআর শিট যাচাই করে চাকরি বাতিল হয়েছিল বহু লোকের। এ বার গ্রুপ সি পদেও কি একই ভাবে চাকরি হারাবেন তিন হাজারেরও বেশি মানুষ? প্রশ্ন এখন সেটাই।