বিক্ষোভরত চাকরিপ্রার্থীরা। ফাইল চিত্র ।
পুলিশের নির্দেশ মেনে শনিবার মেয়ো রোডের ধর্নাস্থলে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভে বসছেন না। বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপলক্ষে অবস্থান বিক্ষোভে বসে থাকা নিয়ে চলা চাপানউতরের মধ্যে এমনটাই জানালেন আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা। শনিবার দুর্গাপুজোর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপলক্ষে কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা যাওয়ার কথা রেড রোড দিয়ে। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হবে পুরো এলাকা। আর সেই কারণেই মেয়ো রোড থেকে চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন তুলে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ময়দান থানার পুলিশ।
এই বিষয়ে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীদের নেতৃস্থানীয় শহিদুল্লাহ প্রথমে বলেন, ‘‘পুলিশের তরফে আমাদের ধর্নাস্থল থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও সমষ্টিগত সিদ্ধান্তে আসতে পারিনি। আন্দোলনকারীদের কেউ কেউ জানিয়েছেন যে, তাঁরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন এবং আন্দোলন করতে আসবেন না। তবে সকলে একই মত পোষণ করেননি।”
পরে অবশ্য চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষ থেকে পাকাপাকি ভাবে জানানো হয়, শনিবার তাঁরা ধর্নায় বসবেন না। প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চান বলেও চাকরিপ্রার্থীরা জানান। আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, শনিবারের শোভাযাত্রার মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় যদি চাকরির নিশ্চিত আশ্বাস দেন, তা হলে তাঁরা অবস্থান বিক্ষোভ একেবারে তুলে নেবেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মেয়ো রোডের এই এলাকা স্পর্শকাতর। শনিবার দুর্গাপুজোর বিসর্জনের বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপলক্ষে এই রাস্তায় প্রচুর ভিড় হবে। একাধিক পুজো কমিটি যোগ দেবে এই শোভাযাত্রায়। তাই এলাকার নিরাপত্তার কথা ভেবেই আন্দোলনকারীদের এক দিনের জন্য ধর্না তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার এসএসসি ‘দুর্নীতি’ নিয়ে সরব হওয়া নবম থেকে দ্বাদশের চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন ৫৭২ দিনে পা দিল। দুর্গাপুজোর সময়েও রাস্তাতেই কাটিয়েছেন চাকরিপ্রার্থীরা।