ফাইল চিত্র।
উচ্চ প্রাথমিক স্তরে যে-সব শিক্ষকপদ প্রার্থী নথি ঠিকমতো আপলোড করতে পারেননি, তাঁরা নতুন করে নথি আপলোড করার সুযোগ পাবেন এবং তাঁদের ‘ভেরিফিকেশন’ বা তথ্য যাচাই হবে অনলাইনে। আদালতের নির্দেশে স্কুলশিক্ষার ওই স্তরে নিয়োগের জট-জটিলতা কাটাতে উদ্যোগী হয়ে এ কথা জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)।
অস্বচ্ছতার কারণে ২০১৬ সালে তৈরি উচ্চ প্রাথমিকের প্রথম মেধা-তালিকা ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর বাতিল হওয়ার পরে নতুন করে ভেরিফিকেশন করে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল ১৫,৪৩৬ জনকে। যদিও ১৮,৩৫৬ জন প্রার্থী অভিযোগ জানান, যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা ইন্টারভিউয়ে ডাক পাননি। আদালত ওই সব প্রার্থীর অভিযোগ শুনতে হবে বলে নির্দেশ দেয় এসএসসি-কে। ১৮,৩৫৬ প্রার্থীর অভিযোগ শোনার পরে এসএসসি জানিয়ে দিয়েছে, ১৪৪৮ জন প্রার্থী ইন্টারভিউয়ের যোগ্য।
অন্য দিকে, প্রার্থীদের অভিযোগ শোনার সময় দেখা গিয়েছে, ১০৯৮ জন প্রার্থী তাঁদের তথ্য ঠিকমতো আপলোড করতে পারেননি। এসএসসি এখন নতুন করে ওই ১০৯৮ জন প্রার্থীকে তথ্য আপলোড করার সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছেন সংস্থার চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। ওই ১০৯৮ জন প্রার্থী তথ্য আপলোড করার পরে ইন্টারভিউয়ের যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচন করা হবে। সিদ্ধার্থবাবু সোমবার বলেন, “১৪৪৮ জন প্রার্থী আগেই ইন্টারভিউয়ের যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন। বাকি ১০৯৮ জন প্রার্থীর মধ্যে যাঁরা ইন্টারভিউয়ের যোগ্য বিবেচিত হবেন, তাঁদের সকলের একসঙ্গে ইন্টারভিউ নিয়ে মেধা-তালিকা তৈরি করা হবে।”
যদিও প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে সিবিআই এসএসসি-র ডেটা রুম সিল করে দেওয়ায় প্রার্থীরা কি নতুন করে এসএসসি-র ওয়েবসাইটে তথ্য আপলোড করতে পারবেন? এসএসসি-র চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, এই কাজে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, তার জন্য তাঁরা একটি বিকল্প ব্যবস্থার কথাও ভেবেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ আপার প্রাইমারি চাকরিপ্রার্থী মঞ্চের সহ-সভাপতি সুশান্ত ঘোষ বলেন, “দীর্ঘ আট বছরে দু’-দু’বার ইন্টারভিউয়ের পরেও উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগ হয়নি। এই অবস্থায় কোনও যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত না-করে অতি দ্রুত নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার আবেদন জানাচ্ছি।”
স্কুল সার্ভিস কমিশনের ডেটা রুম বন্ধ থাকলেও সোমবার অন্যান্য কাজ হয়েছে স্বাভাবিক ভাবেই। এ দিন ডেটা রুমের বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারা থাকলেও অফিসের অন্য কোথাও আলাদা প্রহরা ছিল না। সিবিআইয়ের দাবি, ডেটা রুম লক করা হলেও সার্ভার বা ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ হয়নি। সিবিআইয়ের টেকনিক্যাল টিম শিক্ষা দফতরের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। কমিশন-প্রধান সিদ্ধার্থবাবু বলেন, “শিক্ষক বদলির উৎসশ্রী পোর্টালের কাজ চলছে আগের মতোই। অফিসের নেট সংযোগ ঠিকই আছে।”