কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের উচ্চ প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিয়োগে এক সপ্তাহের মধ্যে মেধা তালিকা এবং ওয়েটিং লিস্ট বা অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করতে পারবে স্কুল সার্ভিস কমিশন বা এসএসসি। তবে তারা আপাতত কোনও নিয়োগ করতে পারবে না। বুধবার কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যে উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে আট বছর আগে লিখিত পরীক্ষা হওয়া সত্ত্বেও এখনও চাকরির আশায় বসে রয়েছেন প্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশে এসএসসি ইন্টারভিউ নিলেও আপাতত নিয়োগের উপরে ফের প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল। বস্তুত, যে পদ্ধতিতে নিয়োগ হয়েছে তাতে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন এক দল চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানান, ইন্টারভিউ নেওয়ার পরে উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে। এমন করা যায় না। আগামী ৩১ অগস্ট পরবর্তী শুনানি।
এ দিকে এ দিনই বিচারপতি সেনের ডিভিশন বেঞ্চে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ রায় ঘোষণা হয়েছে। ওই ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে যে, ২০২২ সালের প্রাথমিক নিয়োগে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্বশিক্ষকেরা প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকদের মতো ১০ শতাংশ সংরক্ষণের সুবিধা পাবেন না। এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায় ছিল, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পার্শ্বশিক্ষকেরাও সমান সুযোগ পাবেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিপ্লব ঠাকুর-সহ এক দল চাকরিপ্রার্থী ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছিলেন। মামলাকারীদের আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, দু’টি পৃথক প্রক্রিয়া। তাই এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক স্তরের চাকরিতে উচ্চ প্রাথমিকের পার্শ্ব শিক্ষকেরা সংরক্ষণ পেতে পারেন না বলে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে।