উদ্ধার হওয়া সীতা মূর্তি। ছবি- নিজস্ব চিত্র
গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়েছিলেন আগের থেকেই। তাই আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েন সশস্ত্র সীমাবল (এসএসবি) এবং কাস্টমসের উচ্চ পদস্থ অফিসাররা। খবর যে একবারেই ঠিক ছিল, প্রমাণ মিলল যখন দুজন সন্দেহভাজনকে আটক করে উদ্ধার করা গেল একটি মহামূল্যবান অষ্টধাতুর মূর্তি। মূর্তিটির ওজন প্রায় ১২ কেজি। আন্তর্জাতিক বাজারে এর আনুমানিক মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- বর্জ্য-দূষণেই বিপন্ন বাংলার নদনদী, মানছে সরকারও
রবিবার সন্ধে সাতটা। বাগডোগরা থেকে নকশালবাড়ি এনএইচ৩১সি সড়কের কাছে ওঁত পেতে বসে ছিল এসএসবি। সেখানে দুজন লোককে সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখেই আটক করেন এসএসবি-র অফিসাররা। তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার করা হয় ওই মূর্তিটি। অফিসারদের প্রাথমিক ধারণা, এই মূর্তি সম্ভবত নেপালে পাচার হচ্ছিল বা সেখান থেকে এ দিকে নিয়ে আসা হচ্ছিল। ওই দুই অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা বলে জানিয়েছেন অফিসাররা। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন এসএসবি কম্যান্ড্যান্ট রাজীব রাণা, ডেপুটি কম্যান্ড্যান্ট ব্রজেশ কুমার এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট কম্যান্ড্যাট বিকাশ কুমার। ছিলেন কাস্টমসেরর উচ্চ পদস্থ কর্তারাও।
কম্যান্ড্যান্ট রাজীব রাণা বলেন, “আমাদের কাছে আগের থেকে খবর ছিল। বহুমূল্যের কোনও কিছু লেনদেন হতে পারে এখানে। সে হিসেবেই ফাঁদ পেতেছিলাম আমরা।”
পরে, অষ্টধাতুর এই মূর্তিটিকে পাঠানো হয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগে। বিশেষজ্ঞদের প্রাথমিক ধারণা, এটি আসলে সীতার মূর্তি। এবং এর ঐতিহাসিক মূল্যও রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে, কোন সময়ের এই মূর্তি তা নিয়ে গবেষণা চালাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। মূর্তির বয়স যাই হোক না কেন, মূর্তির বাজার দর যে আকাশ ছোঁয়া এ নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই।