নব মহাকরণ থেকে বেরিয়ে আসছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। বৃহস্পতিবার। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
আগে সিবিআই এক বার কথা বলতে চাইলেও সময় দিতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার রাজ্যের পর্যটনসচিব অত্রি ভট্টাচার্যের বক্তব্য নথিভুক্ত করল সিবিআই। এ দিন নব মহাকরণে তাঁর সরকারি কার্যালয়ে গিয়ে সিবিআই অফিসারেরা তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। প্রশ্ন করেন। দু’পক্ষের মধ্যে কথা হয় প্রায় সওয়া দু’ঘণ্টা। পর্যটনসচিব সহযোগিতা করেছেন বলে পরে জানান তদন্তকারীরা।
অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন গ্রেফতার হওয়ার পরে তাঁর মালিকানাধীন চ্যানেল ‘তারা টিভি’র দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে পাঁচ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়। তারা টিভি শেষ পর্যন্ত রাজ্যের কাছ থেকে ছ’কোটি টাকা পেয়েছিল। সিবিআইয়ের প্রশ্ন, এক দিকে সরকার যখন সারদার মালিককে গ্রেফতার করে লগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে, সেই সময় তাদেরই চ্যানেলে অর্থসাহায্য করা হয় কোন যুক্তিতে? এই প্রশ্নের জবাব মিলছে না।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বক্তব্য, রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের সচিব থাকার সুবাদে সেই সময় অত্রি ভট্টাচার্য এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের অংশীদার ছিলেন। অত্রিবাবুর সেই ভূমিকা নিয়েই এ দিন তাঁকে নানা প্রশ্ন করেন সিবিআই অফিসারেরা। তাঁদের প্রশ্ন: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সংক্রান্ত ফাইলে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেও সচিব হিসেবে অত্রিবাবু কি তার বিরোধিতা করেছিলেন? নাকি তিনিই তারা টিভি-কে অর্থসাহায্যের প্রস্তাব লিখেছিলেন ফাইলে? যদি অর্থ লগ্নি সংস্থার মালিকানাধীন চ্যানেলকে সাহায্য করতেই হয়, তা হলে অন্য চ্যানেলগুলির ক্ষেত্রেও সরকার কি একই নীতি গ্রহণ করেছিল? যদি তারা সেটা না-করে থাকে, তা হলে কেন করা হয়নি? সিবিআই এ দিন এই ধরনের নানা প্রশ্ন করেছে অত্রিবাবুকে।
পর্যটনসচিবের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই-কর্তারা খুশি। এক কর্তা পরে বলেন, ‘‘আমাদের যা জানার ছিল, তা জেনে এসেছি। উনি সহযোগিতা করেছেন।’’ তবে এ দিন ফোন করেও অত্রিবাবুকে পাওয়া যায়নি। জবাব মেলেনি মোবাইল বার্তারও।