—ফাইল চিত্র।
বঙ্গোপসাগরে এখনও নিম্নচাপ রয়েছে। যার প্রভাবে সমুদ্রের উপর ঝোড়ো হাওয়া বইছে। মৎস্যজীবীদের সে কথা জানিয়ে সতর্ক করল হাওয়া অফিস। আরও ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁদের সমুদ্রে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা বৃদ্ধি করা হয়েছে। গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপের কারণে উত্তর এবং পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সেখানে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার। কখনও কখনও দমকা হাওয়ার বেগ পৌঁছে যাচ্ছে ৬০ কিলোমিটারেও। আরও ৩৬ ঘণ্টা এই ধরনের আবহাওয়া থাকতে পারে সমুদ্রের উপরে। সেই কারণে আপাতত গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।
নিম্নচাপের প্রভাব পড়বে স্থলভাগের উপরেও। গত কয়েক দিন ধরেই বৃষ্টি চলছে দক্ষিণবঙ্গের জেলায় জেলায়। আকাশ অধিকাংশ সময়েই থাকছে মেঘলা। কখনও ঝেঁপে বৃষ্টি নামছে, কখনও ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাল হাওয়া অফিস। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। তবে চারটি জেলায় ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হবে ৭ থেকে ১১ সেন্টিমিটার পর্যন্ত। এই জেলাগুলিতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে একাধিক জেলায়। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে জলপাইগুড়ি আলিপুরদুয়ারেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টি চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। এ ছাড়া, কোচবিহারে সোমবার এবং মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে। উত্তরবঙ্গের বাকি জেলাতেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবে সারা সপ্তাহ ধরেই। তবে আর কোথাও আবহাওয়া সংক্রান্ত কোনও সতর্কতা নেই।
শুক্রবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৪ ডিগ্রি বেশি। বৃহস্পতিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের চেয়ে ১.২ ডিগ্রি কম।