স্পুটনিক ভি-র ট্র্যায়ালে অংশ নিয়েও মেলেনি শংসাপত্র। প্রতীকী চিত্র
করোনা টিকার পরীক্ষামূলক গবেষণায় অংশগ্রহণ করেও অনেকে সরকার অনুমোদিত শংসাপত্র পাননি। অথচ যাঁরা ওই টিকা নিয়েছেন তাঁরা সকলেই শংসাপত্র পেয়ে গিয়েছেন। ফলে নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের। কেন তাঁরা বঞ্চিত হলেন এবং কবে তাঁদের শংসাপত্র দেওয়া হবে? এই প্রশ্ন তুলে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাই কোর্টে। মামলাটি করেছেন কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতি ভৌমিক।
গত বছর ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের জুলাই মাস পর্যন্ত স্পুটনিক ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক টিকাকরণ চলে ভারতে। পরীক্ষা সফল হওয়ার পর সাধারণের জন্য ওই টিকায় ছাড়পত্র দেয় আইসিএমআর। অন্য টিকার মতো এই টিকারও নির্দিষ্ট ডোজ নেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কো-উইন আপ থেকে শংসাপত্র প্রদান করা হয়েছে। এখন অভিযোগ, যাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন তাঁদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ফলে একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে ওই ব্যক্তিদের। জানা গিয়েছে, গোটা ভারত জুড়ে কয়েক হাজার মানুষ ওই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের অনেকেই কোভিড শংসাপত্র পাননি। সেই তালিকায় কলকাতার ৫০ জন রয়েছেন। এ নিয়েই মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার ও আইসিএমআর-এর বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় উচ্চ আদালতে। মামলাকারীর আইনজীবী মোহিত গুপ্ত বলেন, "সার্টিফিকেট-মামলা দায়ের হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার ওই মামলাটির শুনানি হতে পারে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চে।"
চিকিৎসক শুভ্রজ্যোতির নেতৃত্বেই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ওই টিকার পরীক্ষা চলে। এখন শংসাপত্র না পেতেই তিনিই আদালতের দ্বারস্থ হন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘স্পুটনিকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগে যে সব স্বেচ্ছাসেবক অংশ নিয়েছিলেন তাঁরা শংসাপত্র পাননি। অথচ কোভিশিল্ড ও কো-ভ্যাক্সিনের স্বেচ্ছাসেবকদের শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। শংসাপত্র না পাওয়ার দরুণ ওই স্পুটনিক স্বেচ্ছাসেবকরা কোথাও ভ্রমণ করতে পারছেন না। এখন লক্ষ লক্ষ লোক স্পুটনিক নিচ্ছেন। যাঁরা প্রথম এগিয়ে এসেছিলেন তাঁরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এ নিয়ে কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রককে জানিয়েও কিছু হয়নি। তাই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি।’’
স্বেচ্ছাসেবকরা ভ্রমণ করতে পারছেন না। পড়াশোনার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। এমনই এক স্বেচ্ছাসেবকের বক্তব্য, "আমরা স্পুটনিকের সার্টিফিকেট পাইনি। আবার সার্টিফিকেটের জন্য অন্য ভ্যাকসিনও নিতে পারব না। ফলে এখন সার্টিফিকেট অনেক জায়গায় বাধ্যতামূলক হওয়ায় আমরা পদে পদে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছি।",