Sukhendu Sekhar Roy

দলের সঙ্গে সুখেন্দুর দূরত্ব কমার সম্ভাবনা

আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলে, ধর্না দিয়ে দলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন সুখেন্দু। তার পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে নিজের আসন ছেড়ে পিছনের আসন নেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৯:৩৩
Share:

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। —ফাইল চিত্র।

আর জি কর কাণ্ডের জেরে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। সম্প্রতি সেই দূরত্ব কমে সন্ধির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। গত কাল রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাবে তৃণমূলের অন্য সাংসদদের পাশাপাশি সই করেন সুখেন্দুশেখর। সূত্রের খবর, তিনি আজ সকালে সংসদে অধিবেশন শুরুর আগে ৬১, সাউথ অ্যাভিনিউয়ে তৃণমূলের অস্থায়ী কার্যালয়ে দলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের সঙ্গে বৈঠক করেন। তবে ছিলেন না দুপুরে তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদীয় দলের বৈঠকে। আজ এই বিষয়ক প্রশ্নে তাঁর উত্তর, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। যা বলার দল হয়তো বলবে।”

Advertisement

আর জি করের ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ খুলে, ধর্না দিয়ে দলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন সুখেন্দু। তার পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে চিঠি লিখে নিজের আসন ছেড়ে পিছনের আসন নেন তিনি। কক্ষ সমন্বয়ের প্রশ্নে তাঁকে ডাকা হচ্ছিল না। কালীঘাটে তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও ডাক পাননি তিনি।

সূত্রের খবর, সুখেন্দুশেখর চাইছিলেন রাজ্যসভার দলীয় কাজকর্মের মূল স্রোতে ফিরতে। তিনি ঘনিষ্ঠ মহলে বলেছিলেন যে, আর জি কর কাণ্ডে দোষীর ফাঁসির দাবিতে ধর্নায় বসলেও প্রকাশ্যে কখনও দলবিরোধী অথবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেননি। তিনি মমতার সঙ্গে ছিলেন, আছেন এবং থাকতে চান। সম্প্রতি তিনি কথা বলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের সঙ্গে। পাশাপাশি, তাঁর বক্তব্য দলনেত্রীর কাছেও পৌঁছে দিয়েছেন বলে খবর। রাজনৈতিক সূত্রে খবর, তিনি অনুতাপ প্রকাশ করে, তৃণমূল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আনুগত্য জানিয়ে চিঠিও পাঠাচ্ছেন নেত্রীকে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই নিয়ে কিছু বলতে চাওয়া হয়নি। দলের শীর্ষ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুখেন্দুশেখর সম্পর্কে দলের অবস্থান গত কালও যা ছিল, আজও তা-ই রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement