অতিথি: কোচবিহারে গত বছর হুসেইন মহম্মদ এরশাদ। ফাইল চিত্র।
আগে কোচবিহার সফরে এসে মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রশংসা করে ‘ব্যতিক্রমী রাজনীতিবিদ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর জন্য শাড়ি, কবিতার বইয়ের মত উপহার সামগ্রীও পাঠিয়েছেন বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি হুসেইন মহম্মদ এরশাদ। এ বার একই দিনে পৃথক পৃথক কর্মসূচিতে কোচবিহারে থাকার কথা তাঁদের। তাতেই মুখ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির সৌজন্য সাক্ষাতের সম্ভাবনা দেখছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
আজ, রবিবার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত হয়ে সড়ক পথে কোচবিহারে আসবেন এরশাদ। পৈতৃক ভিটের টানেই কোচবিহারের দিনহাটায় আসছেন তিনি। সোমবার দিনহাটার পারিবারিক অনুষ্ঠানে থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার কোচবিহার শহরের রাজবাড়ি ঘুরে দেখার কথা রয়েছে তাঁর। ওই দিন কোচবিহারে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। সেক্ষেত্রে ‘প্রোটোকল’ সংক্রান্ত কোন জটিলতা বা ‘সময়সূচি’ নিয়ে কোনও সমস্যা না হলে ওই দুই নেতা-নেত্রীর সৌজন্য সাক্ষাৎ হতে পারে। প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পরিবার সূত্রের খবর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফর সূচির কথা জেনে ঘনিষ্ঠমহলে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎয়ের ব্যাপারে আগ্রহের কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বছর দেড়েক আগে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য পাঠান এরশাদের স্বরচিত কবিতার বই, শাড়ি কলকাতায় পৌঁছে দেন তাঁর আত্মীয় আহসান হাবিব। আগেও তাঁদের সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে। এরশাদের তুতো ভাইপো জ্যাকারিয়া হোসেন জানিয়েছেন, “এ বার কোচবিহার শহর ঘুরে দেখার সঙ্গেই ডুয়ার্সের বাতাবাড়িতেও যাবেন জ্যাঠা। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এ বার তাঁর দেখা হতে পারে। কোচবিহারে তিনি আসবার পরেই অবশ্য ওই বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।”
দিনহাটার পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এরশাদের পৈতৃক বাড়ি। এলাকায় তিনি ‘পেয়ারাদা’ নামে পরিচিত। ১৯৪৬ সালে দিনহাটা হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করেন। তারপর রংপুর কলেজে পড়তে যান। পরে দেশভাগের জন্য ঘরে ফেরা হয়নি। ২০১৫ সালেও তিনি দিনহাটায় এসেছিলেন।