সূচনা: আলিপুরে শুক্রবার আমলা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশে (বাঁ দিকে) মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং (ডান দিকে) স্বরাষ্ট্রসচিব মলয় দে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমলারা এ রাজ্যের সম্পদ। সরকারি পরিষেবা জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ এঁরা শক্ত হাতে পরিচালনা করতে পেরেছেন বলেই রাজ্যে উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।’’ মুখ্যসচিব দাবি করেন, ২০১১-র পর থেকে যা যা কাজ হয়েছে, তা অতীতে কখনওই হয়নি। অনুষ্ঠানে হাজির রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরজিৎ করপুরকায়স্থ বলেন, ‘‘রাজ্যে কর্মযজ্ঞ চলছে। আমরা যে কাজ করতে পারছি, সেটাই বিরাট সুবিধা।’’ ছবি: বিশ্বনাথ বণিক
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আবারও দলের সভানেত্রী পদে নির্বাচিত করতে তৃণমূলের সাংগঠনিক ভোট হচ্ছে। দলের সমস্ত বিধায়ক, সাংসদ, মন্ত্রী নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে রয়েছেন। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীই হঠাৎ আবিষ্কার করলেন, পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সেখানে নেই। এমনকী বক্তৃতার সময়ে কৌতূহলে প্রশ্নও করলেন, ‘‘শুভেন্দু আসেনি?’’
এটুকুই। কিন্তু শুভেন্দুর অনুপস্থিতিকে কেন্দ্র করে শুক্রবার জল্পনা ছড়াল তৃণমূলের মধ্যে! তবে তিনি অনুপস্থিত থাকলেও এ দিন নির্বাচনের সময়ে হাজির ছিলেন তাঁর বাবা তথা কাঁথির সাংসদ ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারী
এবং ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অবশ্য আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন তিনি অসুস্থ। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রে বলা হয়েছে, অধিকারী পরিবারের মেজ ছেলের দাঁতে ব্যথা। যদিও দলের নেতাদের কেউ দাবি করেন, শুভেন্দু তাঁকে জানিয়েছেন তাঁর জ্বর হয়েছে। কেউ বা বলেন,
ওঁর শরীরে র্যাশ বেরিয়েছে। আবার মুকুল রায় সাংবাদিকদের জানান, শুভেন্দু তাঁকে এ দিন সকালে জানিয়েছেন, কিছু কাজ রয়েছে, শরীরটাও ভাল নয়।
দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দু যে আসতে পারছেন না তিনি মমতাকে জানাননি। স্টেডিয়ামে পৌঁছে মমতা সম্ভবত তা জানতে পারেন। তার পরে বক্তৃতার সময় তাঁর প্রসঙ্গে টেনে আনেন। বলেন, ‘‘এখন ওঁরা ফোনে হুমকি দেওয়া শুরু করেছে। জেলে পুরে দেওয়ারও ভয় দেখাচ্ছে। এই
তো শুভেন্দুকেও এসএমএস করেছিল।’’ এর পরেই শুভেন্দুর খোঁজ করেন মমতা।
তৃণমূলের শীর্ষ সারির কিছু নেতা অবশ্য মনে করছেন, শুভেন্দুকে নিয়ে অহেতুক জল্পনা চলছে। পরিবহণ মন্ত্রী সত্যিই অসুস্থ।