ছবি সংগৃহীত
কখনও দলের মধ্যেই কোন্দল, আবার কখনও দুর্নীতির অভিযোগ। সাম্প্রতিক অতীতে জেলায় শাসক দলকে ধাক্কা খেতে হয়েছে বারবার। এর মধ্যেই ঘটে গিয়েছে সাংগঠনিক রদবদল। এ বারে দলের প্রথম সারির নেতাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন দাঁড়ায়, কোন্দল বাড়ে না কমে সে দিকেই তাকিয়ে সকলে
লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগরে জয় পেলেও ধাক্কা খেতে হয়েছিল রানাঘাটে। ভোটের পরে দলের সংগঠনকে ভেঙে দুই ভাগ করা হয়। রানাঘাটের দায়িত্ব পান শঙ্কর সিংহ এবং কৃষ্ণনগরের দায়িত্ব পান মহুয়া মৈত্র। তবে বছর খানেক পরেই তাতে ফের বদল হয়েছে। মাত্র কয়েক দিন আগে দুই আলাদা সাংগঠনিক জেলাকে মিশিয়ে দিয়ে তৈরি হয়েছে নদিয়া জেলার সংগঠন। যার সভানেত্রী হয়েছেন মহুয়া। রানাঘাটের পদ হারিয়েছেন শঙ্কর সিংহ। তবে তাঁকে রাজ্যের সহ-সভাপতি পদে নিযুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু জেলার রাজনীতিতে তাঁর ভূমিকা কী হবে, তা এখনও ধোঁয়াটে।
এর আগে কৃষ্ণনগরের ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, দলের একাধিক বর্ষীয়ান নেতা এবং বিধায়কের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে মহুয়ার। তা গড়িয়েছে রাজ্য কমিটি পর্যন্ত। এ বার পূর্ণাঙ্গ জেলার দায়িত্ব পাওয়ার পরে রানাঘাট এলাকার বর্ষীয়ান নেতাদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ কী দাঁড়াবে, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। শঙ্কর সিংহ বা তাঁর অনুগামীরাই বা কীভাবে নেন মহুয়ার কর্তৃত্ব সেটাও দেখার।
রানাঘাটের শঙ্কর শিবিরের একাংশের দাবি, মহুয়ার সঙ্গে শঙ্কর সিংহের বৈরিতার সম্পর্ক ছিল না। তবে কৃষ্ণনগর এলাকার একাধিক পুরনো, পোড় খাওয়া নেতার সঙ্গে মহুয়ার সম্পর্কের অবনতির পরে শঙ্কর সিংহের সঙ্গে তাঁর সমীকরণ নিয়ে অনেকেই এখনও আশ্বস্ত হতে পারছেন না। রবিবারই কৃষ্ণনগরে জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহে জেলা তৃণমূলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানে শঙ্করবাবুও এসেছিলেন। তিনি বলছেন, “আমি এক জন রাজনৈতিক কর্মী। দল যখন যে দায়িত্ব দেবে তা পালন করব। মহুয়ার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে যাবেই বা কেন। সবাই একসঙ্গেই কাজ করব।”
ওই বৈঠকে উজ্জ্বল বিশ্বাস, রিক্তা কুণ্ডু, গৌরীশঙ্কর দত্ত ও ছিলেন। বুথস্তরে দলের সংগঠনকে মজবুত করার বার্তা দেওয়া হয় বৈঠকে। পাশাপাশি কোনও রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।