অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল ছবি।
দিল্লি যাত্রা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই আবার অনুব্রত মণ্ডলের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। শুক্রবার বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী এই নির্দেশ দিয়েছেন। পরবর্তী শুনানির দিন ১৭ মার্চ ধার্য হয়েছে।
রাজধানীর রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে হাজির করানোর বিষয় নিয়ে শুক্রবারই কলকাতা এবং দিল্লি হাই কোর্টে অনুব্রতের মামলার শুনানি হওয়ার কথা। তার আগে সিবিআই আদালতে হাজির করানো হল অনুব্রতকে। ভার্চুয়ালি শুনানিতে অংশ নেন তৃণমূল নেতা। আদালত সূত্রে খবর, অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তোড়জো়ড় চলছে। বিভিন্ন নথিতে সই করানো-সহ নানা রকম কাজ থাকার কারণেই তাঁকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজির করানো হয়। গত দু’বারের মতো এ বারও অনুব্রতের জামিনের আবেদন করেননি তাঁর আইনজীবী।
অনুব্রতকে দিল্লিতে হাজির করানোর পরোয়ানা কেন কার্যকর হয়নি— মঙ্গলবার দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে সেই প্রশ্নের মুখে পড়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তার দু’দিনের মধ্যেই গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতকে আসানসোলের জেল থেকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার তৎপরতা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে।
তার পরেই শুক্রবার আসানসোলের সিবিআই আদালতের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। উচ্চ আদালতের বিচারপতি বিচারপতি বিবেক চৌধুরী তৃণমূল নেতার আইনজীবী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়কে মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। আদালত সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৩টেয় শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু কলকাতা হাই কোর্টেই নয়, রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে হাজিরা ঠেকাতে দিল্লি হাই কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন অনুব্রত। শুক্রবার তৃণমূল নেতার আইনজীবী কপিল সিব্বল প্রধান বিচারপতি সতীশচন্দ্র শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত শুনানির আর্জি জানান। আদালত সূত্রে খবর, প্রধান বিচারপতি সেই অনুমতি দিয়েছেন। শুক্রবারই তার শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা নিয়ে জল্পনার মধ্যেই অনুব্রতের জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়ল।