অসুস্থতার কারণে সংসদের বেশ কয়েকটি অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি শিশির অধিকারী। ফাইল চিত্র।
দলত্যাগ নিয়ে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে এ বার প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার সংসদ সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। স্পিকারকে লেখা তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠির প্রেক্ষিতেই এমন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০২০ সাল থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হতে শুরু করে তৃণমূলের। ওই বছর ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দিলে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বিধানসভা ভোটের প্রচার শুরু হলে ১ মার্চ এগরাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্বাচনী জনসভায় হাজির হন শিশির। ভোটপর্ব মিটে গেলে তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা শিশিরের পাশাপাশি, বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের বিরুদ্ধেও স্পিকারের কাছে অভিযোগ জানিয়ে তাঁদের সাংসদ পদ খারিজের দাবি জানিয়েছিলেন। যদিও, ভোটে তৃণমূলের বিরাট জয়ের পরেই তৃণমূলে ফিরে এসেছেন সুনীল।
তৃণমূলের সেই আবেদনের ভিত্তিতেই এমন পদক্ষেপ করল স্পিকারের দফতর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাবা শিশিরের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার। বিষয়টি পাঠানো হয়েছে প্রিভিলেজ কমিটির কাছে। প্রিভিলেজ কমিটি পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে রিপোর্ট পেশ করবে স্পিকারের দফতরে। তারপরেই শিশিরের সাংসদ পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গত এক বছরের বেশি সময় যাবৎ লোকসভার অধিবেশনে যোগ দিতে পারেননি কাঁথির তিনবারের সাংসদ। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে স্পিকারকে চিঠিও দিয়েছেন তিনি।
শিশিরের আর এক সাংসদ পুত্র দিব্যেন্দু অবশ্য দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সাংসদদের ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি বৈঠকে যোগ দিতে চেয়ে লোকসভার নেতা সুদীপকে চিঠি লিখেছিলেন। সুদীপ তাঁকে ওই বৈঠকের লিঙ্ক পাঠিয়েছিলেন। সেই লিঙ্কের মাধ্যমেই দিব্যেন্দু ওই বৈঠকে যোগ দেন।