স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
বিধানসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে তা আগে তাঁকে জানাতে বললেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় স্পিকার বলেন, “আশা করব, এই রকম ক্ষেত্রে এজেন্সি আগে বিধানসভাকে ‘অ্যাপ্রোচ’ করবে।”
নারদ মামলায় রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী ও বিধায়ককে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই। বেশ কিছু দিন সেই ঘটনা নিয়ে এজেন্সির একাধিক শীর্ষকর্তাকে তলব করা হয়েছিল বিধানসভায়। সেই বিষয়টি এখনও ঝুলে থাকলেও এ দিন স্পিকারের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। এ দিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির ‘কাজকর্ম’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে একটি প্রস্তাব জমা দেয় শাসক তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সূত্রেই আলোচনার শেষে এই মন্তব্য করেছেন স্পিকার। বিরোধীরা এই প্রস্তাবকে ‘চোরেদের আড়াল করার চেষ্টা’ হিসেবে উল্লেখ করে এই আলোচনায় অংশ নেননি।
এ দিনের আলোচনায় গরু-কয়লা পাচার ও শিক্ষক নিয়োগের তদন্তে ‘তথ্য’ হিসেবে যা প্রকাশ্যে আসছে তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এই সব তথ্যে সিবিআই বা ইডি-র মতো সংস্থার কোনও স্বীকৃতি বা আপত্তি আছে কি না, তা জানা যাচ্ছে না। তাদের সেই দায়িত্ব নিতে হবে।’’ সেই সঙ্গেই কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহারের অভিযোগ করে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের প্রশ্ন, ‘‘সিবিআই আর ইডি কি বিজেপির পৈতৃক সম্পত্তি?’’
কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে তৃণমূলের অভিযোগ নতুন নয়। তবে সম্প্রতি বিধানসভার অধিবেশনে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু সেচমন্ত্রীকে ‘এক মাসের মধ্যে জেলে ঢোকানো’র কথা বলে তাতে নতুন মাত্রা যোগ করেন। সেই সূত্রেই আনা প্রস্তাবে আলোচনায় রাজ্যে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাম্প্রতিক তদন্তগুলিকে ইঙ্গিত করে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘সিবিআই, ইডি যে সব তথ্য পাচ্ছে বলে যা প্রচারে আসছে, তা বেরিয়ে আসছে কী করে! এজেন্সি কি এই তথ্য দিচ্ছে? তা হলে তারাই প্রকাশ্যে বলছে না কেন? বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট বিচারপতিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’’
ওই আলোচনায় বিরোধী বিজেপি অংশ নেয়নি। বরং শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘চোরেদের আড়াল করতে আনা প্রস্তাবে আমরা কেন আলোচনা করব?’’ এই প্রস্তাব পরিষদীয় রীতি বহির্ভূত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।