সারা দেশেই এসে গেল বর্ষা। — ফাইল চিত্র।
বাংলার দক্ষিণ অংশে দেরিতে এলেও বাকি দেশের ক্ষেত্রে সময়ের আগেই প্রবেশ করল বর্ষা। মঙ্গলবার রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাবের বাকি অংশে প্রবেশ করল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, সারা দেশে বর্ষা প্রবেশ করে ৮ জুলাই। চলতি বছর মৌসুমী বায়ু ২ জুলাই, মঙ্গলবারের মধ্যেই সারা দেশে প্রবেশ করেছে। অন্য দিকে, কয়েকটি ঘূর্ণাবর্ত এবং অক্ষরেখার প্রভাবে উত্তরবঙ্গের কিছু জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণের কয়েকটি জেলাতেও বুধবার হতে পারে ভারী বৃষ্টি। তবে দক্ষিণের বাকি জেলায় আপাতত ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।
আলিপুর হাওয়া দফতর জানিয়েছে, বিহার এবং আশপাশের এলাকায় একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম বিহার থেকে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে একটি অক্ষরেখা। সেটি উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ড এবং আশপাশের এলাকার উপর থাকা ঘূর্ণাবর্ত এখন সরে হিমালয় সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের উপরে এসেছে। এ সবের কারণেই উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারে শনিবার পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার)-র সম্ভাবনা রয়েছে। সেখানে জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। মালদহ, উত্তর এবং দক্ষিণ দিনাজপুরে বুধবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উত্তর দিনাজপুরে বৃহস্পতিবারও হতে পারে ভারী বৃষ্টি। সেখানে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গের কিছু জেলায়। উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূমে ভারী বৃষ্টি (সাত থেকে ১১ সেন্টিমিটার)-র জন্য হলুদ সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বৃহস্পতিবার ভারী উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূমে হতে পারে ভারী বৃষ্টি। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। কলকাতায় আগামী সোমবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝড়। তবে কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। দক্ষিণের বাকি জেলাতেও গোটা সপ্তাহে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বিক্ষিপ্ত ভাবে।