—প্রতীকী চিত্র।
করোনা পরিস্থিতিতে যাত্রী পরিবহণ খাতে প্রায় ৮৪ শতাংশ কম আয় হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব রেলের। এই বিপুল লোকসানের ধাক্কা সামলেও খরচ কমিয়ে এবং পণ্য পরিবহণ খাতে আয় বাড়িয়ে জাতীয় অনুপাতের চেয়ে তারা অনেকটা ভালো অপারেটিং রেশিও ধরে রাখতে চলেছে বলে দক্ষিণ পূর্ব রেল কর্তাদের দাবি।
শুক্রবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার সঞ্জয় মোহান্তি জানান, সারা দেশে ১০০ টাকা আয় করার জন্য রেলকে যেখানে গড়ে ৯৬ টাকা খরচ করতে হয়, সেখানে দক্ষিণ পূর্ব রেলের ক্ষেত্রে ওই খরচ ৮৭ টাকার কাছাকাছি। এ বারের বাজেটে দক্ষিণ পূর্ব রেলের জন্য ৬১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। খড়্গপুর ছুঁয়ে দুটি পণ্যবাহী করিডর তৈরির কথা জানিয়েছে কেন্দ্র।
রেল সূত্রের খবর, পূর্ব উপকূলীয় পণ্যবাহী করিডর তৈরি হবে খড়্গপুর থেকে বিজয়ওয়াড়া পর্যন্ত। প্রায় ১১১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ ওই করিডর ছাড়াও ভূষাবল, থেকে নাগপুর ছুঁয়ে খড়গপুর হয়ে ডানকুনি পর্যন্ত ওপর একটি পণ্যবাহী করিডর তৈরি হবে ইস্ট ওয়েস্ট সাব করিডর। যা আদতে উত্তর দক্ষিণ পণ্য বাহী করিডরের সঙ্গে পূর্ব পশ্চিম পণ্যবাহী করিডরকে যুক্ত করবে। ওই দুই গুরুত্বপূর্ণ করিডরের সংযোগ স্থল হওয়ায় খড়গপুরের গুরুত্ব অনেকটাই বাড়বে বলে দাবি রেল কর্তাদের।
সঞ্জয়বাবু জানিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে ওই দুই পণ্যবাহী করিডরের পরিকল্পনা রিপোর্ট তৈরি হবে। খড়্গপুর থেকে আদিত্যপুর এবং নারায়ণগড় থেকে ভদ্রক পর্যন্ত তৃতীয় লাইনের জন্য বাজেটে যথাক্রমে ২২৫ এবং ৩০২ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ফলে যাত্রী পরিবহণের ক্ষেত্রেও ভবিষ্যতে চেন্নাই এবং মুম্বই দু’টি রুটেই আরও বেশি ট্রেন চালানো যাবে। ওই দুই রুটে একাধিক বেসরকারি ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের।