সৌম্যেন্দু অধিকারী। ফাইল চিত্র।
কাঁথির শ্মশান দুর্নীতির মামলায় সৌম্যেন্দু অধিকারীর গ্রেফতারি থেকে রক্ষাকবচ বজায় রইল। এই মামলায় কলকাতা হাই কোর্ট সৌম্যেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে। আজ প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় রাজ্য সরকারের মামলা খারিজ করে দিয়ে জানান, সুপ্রিম কোর্ট এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না।
বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌম্যেন্দু কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান থাকাকালীন কাঁথি শ্মশানের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। পুলিশের তদন্তের মুখেই হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সৌম্যেন্দু। ৩১ জানুয়ারি হাই কোর্ট রায় দেয়, তদন্তে সহযোগিতা করলে সৌম্যেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। এই রায়ের বিরুদ্ধেই রাজ্য সরকারের মামলা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিল।
অন্য দিকে কাঁথি পুরসভার ভোটে অনিয়ম নিয়ে সৌম্যেন্দুর মামলা ১১ জুলাই শুনানি হবে বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সৌম্যেন্দু কাঁথির পুরভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন। হাই কোর্ট সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে এলে গত বছরের মে মাসে সুপ্রিম কোর্ট হাই কোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। আজ সেই মামলার প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন তোলেন, নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এখন সিসিটিভি ফুটেজের ফরেন্সিক পরীক্ষা করে কী লাভ হবে? সৌম্যেন্দুর আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়ার জবাব, নির্বাচন প্রক্রিয়া খারিজের কথা কোর্টও বলেনি।
কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশ মতো ভোট হয়েছে কি না, তা দেখার জন্যই ফরেন্সিক পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়। কারণ ভোটে আইএএস অফিসার নিয়োগের নির্দেশ থাকলেও রাজ্যের অফিসারকে নিয়োগ করা হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি বলেন, সে ক্ষেত্রে ১১ জুলাই মামলা শোনা হবে।