প্রতীকী ছবি।
করোনা পরিস্থিতিতে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকার একাধিক ওষুধের দোকানে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রকম ওষুধের আকাল। পাওয়া যাচ্ছে না প্যারাসিটামল, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক সালফেটের মতো সাধারণ ওষুধও। বিক্রেতাদের একটি বড় অংশেরই দাবি, ঘরে ঘরে ওই সব সাধারণ ওষুধ মজুত করার জন্যই আচমকা আকাল দেখা দিয়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতির জেরে কর্মী কম থাকায় উৎপাদনও কম হচ্ছে বলে অনেকের ধারণা।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে বহু ওষুধের দোকানেই মিলছে না জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল, ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক সালফেটের মতো ওষুধগুলি। অনেকেই ওই সব ওষুধ কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। দেগঙ্গার বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন যেমন বলেন, ‘‘ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক সালফেট কিনতে বেরিয়েছিলাম। ৪টি দোকান ঘুরলাম। কিন্তু কোথাও পেলাম না। কোভিড পরিস্থিতিতে মানুষ এই ওষুধগুলি খাচ্ছে বেশি। আর দোকানদাররা বলছেন, ওষুধ নেই।’’
দেগঙ্গার বাসিন্দা সুজাতা মণ্ডলও একই কথা বলছেন। ওষুধের সন্ধানে ঘুরে তাঁর বক্তব্য, ‘‘ভিটামিন সি, জিঙ্ক সালফেট এবং প্যারাসিটামলের মতো ওষুধ পাচ্ছি না। যে দোকানেই যাচ্ছি সেখানেই বলছে নেই।’’
অনেকে যে ভিটামিন সি, জিঙ্ক সালফেট এবং প্যারাসিটামল বাড়িতে মজুত করছেন তা মানছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। খাইরুল মণ্ডলের ওষুধের দোকান। তিনি বলেন, ‘‘আগেও ওই সব ওষুধ লোকে খেত। তবে এখন বেশি বিক্রি হচ্ছে। চিকিৎসকরা ভিটামিন সি এবং জিঙ্ক সালফেট খেতে বলছেন। তাই সাধারণ মানুষও খাচ্ছেনও। তার জেরেই চাহিদা বেড়ে দিয়েছে। কিন্তু জেলা জুড়েই ওষুধের সরবরাহ কম।’’