যাত্রা: বাসে চেপে রাজভবনে। নিজস্ব চিত্র
হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় মাস কয়েক আগে সিঙ্গুরে গিয়ে শিল্পের দাবিতে সরব হয়েছিলেন। তিনি সেই সময় সিঙ্গুরবাসীকে আশ্বস্ত করেছিলেন, সিঙ্গুরের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন। এ বার তাঁর দলের তরফেই মঙ্গলবার ‘সিঙ্গুর বাঁচাও’ ডাক দিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে দরবার করা হল। এ দিন সিঙ্গুর স্টেশন লাগোয়া বুড়োশান্তি মাঠ থেকে একটি বাস ছাড়ে রাজভবনের উদ্দেশে। সেই বাসে সিঙ্গুরে টাটা প্রকল্পে জমি দিয়েছেন, এমন কয়েকজন চাষিও ছিলেন।
কিছুদিন আগে শান্তিনিকেতনের সমাবর্তন অনুষ্ঠান সেরে কলকাতায় ফেরার পথে রাজ্যপাল নিজে সরাসরি সিঙ্গুর বিডিও অফিসে হাজির হন। রাজ্যপাল সিঙ্গুরে আসার খবর ছড়াতেই বিজেপির স্থানীয় কর্মীরা গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপাল সরাসরি সে দিন সিঙ্গুর নিয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যান। তখনই কয়েকজন গ্রামবাসী রাজভবনে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, টাটা প্রকল্পের জমিতে শিল্প হল না। এখন ওই জমির যা পরিস্থিতি, তাতে চাষ অসম্ভব। ওই জমিকে শিল্প ও কৃষিতে কাজে লাগানোর দাবি নিয়েই রাজ্যপালের কাছে যান বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব। সিঙ্গুরের গোপালনগরের বাসিন্দা শরৎ বেরা বলেন, ‘‘আমার আড়াই বিঘে জমি টাটা প্রকল্পে দিয়েছিলাম। কোনও কাজ হল না। এখন ওখানে উলুখাগড়ার জঙ্গল। সরকার হয় আমাদের চাষের উপযুক্ত করে জমি ফিরিয়ে দিক। আর না হলে শিল্প করুক। রাজ্যপাল আমাদের কথা মন দিয়ে শুনেছেন।’’
এখন দেখার, সিঙ্গুরের মানুষের আর্জি আদৌ ফলপ্রসূ হয় কি না।