—ফাইল চিত্র।
কখনও ভারত-ভুটান সীমান্তের জয়গাঁর সোনা উদ্ধার কাণ্ডের তদন্ত তো কখনও দার্জিলিং চকবাজারের আইইডি বোমা বিস্ফোরণের ফরেন্সিক তদন্ত। আবার উত্তরবঙ্গ জুড়ে নানা সময়ে ঘটে যাওয়া খুন বা পেট্রল পাম্প, ব্যাঙ্ক ডাকাতির ঘটনায় তদন্তের জন্য কলকাতার ফরেন্সিক দলের জন্য বসে থাকতে হয় উত্তরবঙ্গের সদর দফতর শিলিগুড়ির সিআইডি অফিসার ও পুলিশকে। কোনও ঘটনার ক্ষেত্রে তো কলকাতা, দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্ব, তদন্ত শেষ করে অফিসারদের উত্তরবঙ্গে আসতে সময় লেগে গিয়েছে ৭/৮ দিনও। তাতে ঘটনাস্থলের হাতের ছাপ থেকে নমুনা বা তথ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কার কথা বারবার বলেন গোয়েন্দা অফিসারেরা। অবশেষে সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল সিআইডি ভবানী ভবন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতার সদ্য প্রাক্তন নগরপাল তথা এডিজি সিআইডি রাজীব কুমার একটি নির্দেশ জারি করেছেন। তাতে শিলিগুড়িতে ‘মোবাইল ফরেন্সিক ইউনিট’ চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইটেন্ডার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, চালক-সহ সিআইডির ৩জন ফরেন্সিক অফিসার অত্যাধুনিক সরঞ্জাম সম্বলিত গাড়িটি নিয়ে শিলিগুড়িতে থাকবেন। কোনও ঘটনায় জেলা পুলিশ বা কমিশনারেটের তরফে ডাক পেলেই তাঁরা মোবাইল ইউনিটটি নিয়ে পৌঁছে যাবেন। চলতি মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহের মধ্যে গোটা প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অপরাধ বাড়তে থাকায় শিলিগুড়িতে একটি স্থায়ী ল্যাবও সিআইডি চালু করতে চলেছে।
সিআইডি সূত্রের খবর, শব্দ, তাপমাত্রা, বিদ্যুতিক শক নিরোধক ব্যবস্থা ছাড়াও ডিএনএ, বায়োলজিক্যাল নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা, ক্যামেরা, ফিন্টার, লেনস, স্ক্যানার, নানান ইউভি কিট, লাইটিং সিস্টেমের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। রক্ত এবং নানা শরীরের রক্তরস নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা, বুলেট হোল টেস্টিং কিট, নারকোটিক্স বা এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন কিটও গাড়িটিতে অফিসারদের কাছে দেওয়া হচ্ছে। সিআইডির উত্তরবঙ্গের এক কর্তা বলেন, ‘‘এই মোবাইল ফরেন্সিক ইউনিটটি চালু হলে পুলিশের তো বটেই আমাদের নিজেদের বহু মামলার তদন্তে ক্ষেত্রে আরও গতি আসবে।’’ গত কয়েক বছরে শিলিগুড়ি-সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ঘটে যাওয়া ঘটনায় দেখা গিয়েছে, তদন্তে নেমেই সিআইডির ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের সাহায্য চেয়েছে পুলিশ।