Siddiqullah Chowdhury

জোটের বার্তা আব্বাসের, পাল্টা তোপ সিদ্দিকুল্লার

 অশোকনগরের বালিয়াডাঙা এলাকায় একটি ধর্মীয় সভায় শনিবার গিয়েছিলেন আব্বাস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

অশোকনগর ও বাগনান শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৩২
Share:

সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। ফাইল চিত্র।

বিধানসভা ভোট যত কাছে আসছে, বিজেপির মোকাবিলায় সংখ্যালঘু শিবিরে তৎপরতা তত বাড়ছে। চলছে নানা ধরনের অঙ্ক কষা। বিজেপিকে ঠেকাতে বৃহত্তর স্বার্থে ভোট ভাগাভাগি এড়াতে বাম ও কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁরা যে জোটে আগ্রহী, ফের সে কথা বুঝিয়ে দিয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী। আবার বিজেপির বিরুদ্ধে তৃণমূলের সংখ্যালঘু সমর্থনকে এককাট্টা রাখার লক্ষ্যে এমআইএম-এর আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এবং ফুরফুরার আব্বাসকে আক্রমণ করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

Advertisement

অশোকনগরের বালিয়াডাঙা এলাকায় একটি ধর্মীয় সভায় শনিবার গিয়েছিলেন আব্বাস। মণ্ডলপাড়া এলাকায় তাঁর দল ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) একটি সাংগঠনিক বৈঠকও করেন তিনি। আব্বাস বলেন, ‘‘যাতে ভোট ভাগাভাগি না হয়, তার জন্য আমার দরজা খোলা আছে।’’ আব্বাসের সঙ্গে বাম-কংগ্রেসের জোটের আসন-ভাগ নিয়ে আলোচনা করতে চেয়ে কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে চিঠি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান। এই বিষয়ে আব্বাস এ দিন বলেন, "উনি চিঠি দিয়েছেন, কারণ ওঁর সদিচ্ছা আছে। আলোচনা না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা সম্ভব নয়।" রাজ্যের ক’টি আসনে তিনি প্রার্থী দিতে চলেছেন, তা অবশ্য নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেও আব্বাস জানিয়েছেন। তবে তাঁর দাবি, ‘‘উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় ১৮টি বিধানসভায় আমরা কাজ করছি। তার মধ্যে ৮টি বিধানসভায় জোট হোক বা না হোক, আমরা জয়ী হব।’’ বাকি ১০টি আসনের ব্যাপারে কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে আব্বাস বলেন, ‘‘কোথাও ৭০%, কোথাও ৫০% কাজ হয়েছে। বাকিটার জন্য কংগ্রেস, বাম আছে। সে কারণেই জোট দরকার।’’ তবে শেষ পর্যন্ত জোট না হলে তাঁর দলের সমর্থকদের নোটায় ভোট দিতে বলবেন বলে জানিয়েছেন আব্বাস।

হাওড়ার বাগনানের লাইব্রেরি মোড়ে কৃষি আইনের প্রতিবাদে একটি জনসভায় নাম না-করে এ দিনই আব্বাস এবং ওয়েইসিকে বিঁধেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের রাজ্য সভাপতি সিদ্দিকুল্লা। ওয়েইসির প্রতি তাঁর খোঁচা, ‘‘হায়দরাবাদ থেকে পাখি উড়ে আসবে বংলায়। ডিম দেবে। তা থেকে বাচ্চা হবে। আবার তার ডিম আমরা খাব। কেউ বিশ্বাস করবেন না। বাংলার মুসলমানরা যখন বিপদে পড়েছেন, হায়দরাবাদ থেকে কে কবে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন?’’ আর আব্বাসের উদ্দেশে সিদ্দিকুল্লার কটাক্ষ, ‘‘আর এক জন পির সাহেব মাঠে নেমেছেন। বাংলায় তাবিজ-কবজের বিনিময়ে মানুষ ভোট দেন না। পুকুরের সিঁড়িতে নেমে স্নান করার যাঁর ক্ষমতা নেই, তিনি নেমেছেন পুকুরে সাঁতার কাটতে। একটা পঞ্চায়েত নির্বাচনে যিনি জিততে পারবেন না, তিনি নেমেছেন বিধানসভা নির্বাচনে ভোট চাইতে!’’ আব্বাস এবং ওয়েইসি পরোক্ষ ভাবে বিজেপিকে সাহায্য করছেন বলেও অভিযোগ সিদ্দিকুল্লার। সেই সঙ্গেই তাঁর আহ্বান, ‘‘মুসলিমদের নানা সংগঠন আছে। কিন্তু সাংগঠনিক বিভেদ ভুলে সবাইকে একই ছাতার নীচে আসতে হবে। সামনে বড় বিপদ।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement