ফাইল চিত্র।
অর্থ লগ্নি সংস্থা সারদার বিপুল অর্থ তছরুপ এবং নারদ স্টিং অপারেশনে কিছু মন্ত্রী-নেতার টাকা নেওয়ার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় বার বার ‘প্রভাবশালী’ তত্ত্ব উত্থাপন করছে সিবিআই। কিন্তু বৃহস্পতিবার কলকাতা হাই কোর্টে পাঁচ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের সামনে নারদ মামলার শুনানিতে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী সৌরভ চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর মক্কেল কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তি নন। ২০১৮ সালের পর থেকে তিনি কোনও সরকারি পদে নেই। এমনকি বর্তমানে তিনি কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত নন।
বিধানসভা ভোটের আগে শোভনবাবু বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী প্রার্থী-তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। তার পরেই সেই দলের সংস্রব ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর কৌঁসুলি সৌরভবাবু এ দিন আরও একটি প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। তিনি আদালতে বলেন, সিবিআই ১৭ মে রাজ্যের চার মন্ত্রী-নেতাকে গ্রেফতার করেছিল। সে-দিন নিম্ন আদালতে শুনানির আগেই সিবিআই কলকাতা হাই কোর্টে নিজেদের আবেদন পেশ করে। অথচ নিম্ন আদালতে সে-কথা জানানো হয়নি। সিবিআই যে ‘মবক্র্যাসি’ বা জন-উন্মত্ততার
কথা বলছে, তার উল্লেখই করা হয়নি নিম্ন আদালতে।
এ দিন বেলা পৌনে ১টা নাগাদ নারদ মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথমে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা জানান, সিবিআই আইনশৃঙ্খলা নিয়ে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে না এবং বিরোধী পক্ষের অনুপস্থিতিতে আদালতের কাছ থেকে নির্দেশও আদায় করতে পারে না। ডিভিশন বেঞ্চের অন্যতম সদস্য, বিচারপতি সৌমেন সেনের পর্যবেক্ষণ, যদি অভিযুক্ত পক্ষ এমন পরিস্থিতি তৈরি করে, যা তাদের পক্ষে সুবিধাজনক, তা হলে কি তাদের বক্তব্য শোনা হয়নি— এমন কথা বলার কোনও জায়গা থাকে? লুথরা জানান, সে-ক্ষেত্রে সিবিআই জামিন খারিজের আবেদন করতে পারত। এ ক্ষেত্রে মন্ত্রীরা ব্যক্তিগত ভাবে অভিযুক্ত। কিন্তু সিবিআই তাঁদের মামলায় যুক্ত না-করে রাজ্যের বিরুদ্ধে মামলা করল এবং তার রায় ব্যক্তি হিসেবে সেই মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে গেল!