—প্রতীকী চিত্র।
করোনার টিকার আকালের মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে সঙ্কট এ বার সিরিঞ্জের। সমস্যা মেটাতে যত দ্রুত সম্ভব, অন্তত ২০ লক্ষ সিরিঞ্জ পাঠানোর জন্য কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কাছে আবেদন করেছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু কবে কত সিরিঞ্জ আসবে, সোমবার রাত পর্যন্ত তা জানতে পারেনি স্বাস্থ্য শিবির। বরং শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রের কাছেও এক বার ব্যবহারযোগ্য বিশেষ ধরনের ওই সিরিঞ্জ মজুত নেই।
স্বাস্থ্য দফতরের বাগবাজারের কেন্দ্রীয় মেডিক্যাল স্টোরে একটিও সিরিঞ্জ নেই। এক স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, “বিভিন্ন জেলায় সিরিঞ্জের সংখ্যা কমছে। তাই কেন্দ্রের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। যাতে সিরিঞ্জের অভাবে টিকা দেওয়ার কাজ বন্ধ না-হয়।” ওই সিরিঞ্জ খোলা বাজারে মেলে না। ০.৫ মিলিগ্রাম টিকা টানা হয়ে গেলেই তা লক হয়ে যায়। আবার সিরিঞ্জ এক বার পুশ করা হলেই সেটি লক হয়ে যাবে। তার পরে ব্যবহার করতে গেলে সেটি যাবে ভেঙে। ওই বিশেষ সিরিঞ্জ প্রথম থেকেই রাজ্যগুলিকে দিচ্ছে কেন্দ্র। স্বাস্থ্য দফতরের খবর, কেন্দ্র এ-পর্যন্ত ২.৯৮ কোটি ডোজ় টিকা এবং সমসংখ্যক সিরিঞ্জ পাঠিয়েছে। ওই টিকার মধ্যে রাজ্য বাঁচিয়েছে প্রায় ৭% (প্রায় ২০ লক্ষ টিকা)। প্রতিদিনই সব কেন্দ্রে একটি ভায়াল থেকে কর্মীরা ১১টি করে ডোজ় দিচ্ছেন। কিন্তু কেন্দ্র ভায়াল-প্রতি ১০টি ডোজ়ের হিসেবে সিরিঞ্জ পাঠায়। বেঁচে যাওয়া ডোজ় দিতে কেন্দ্রের সিরিঞ্জই ব্যবহার করা হয়েছে। আর তাতেই হয়েছে সমস্যা।