ছবি: সংগৃহীত।
ডেঙ্গি মোকাবিলার অন্যতম প্রধান অস্ত্র মশা মারার তেল। কিন্তু সেই অস্ত্র এখনও হাতে নেই পুর কর্তৃপক্ষের। কারণ, তেল এখনও সরবরাহ করতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। তা নিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের চিঠি চালাচালি হলেও পরিস্থিতির বদল হয়নি। পুর দফতরকে দ্রুত পরিস্থিতির বদলের আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
রাজ্যে বর্ষা এসেছে। সঙ্গে রয়েছে আমপান পরবর্তী পরিস্থিতি। কারণ, গাছ, বৈদুতিক স্তম্ভ-সহ বিভিন্ন সামগ্রী ভেঙে পড়ছে। বিভিন্ন এলাকায় তা সরানো যায়নি। ফলে সেখানে জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মশার মারার তেলের প্রয়োজনীয়তা বেশি। তেল না-মেলায় ডেঙ্গি মোকাবিলা ধাক্কা খেতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
কেন মিলছে না মশার তেল? সূত্রের খবর, তেলের জন্য দরপত্র আহ্বান নিয়ে জট তৈরি হয়েছে। প্রায় মাস খানেক ধরে তেলের জন্য স্বাস্থ্য ভবনে দরবার করছে পুর দফতর। সপ্তাহ দুয়েক আগে স্বাস্থ্য দফতরকে চিঠিও পাঠায় তারা। বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। কয়েক দিনের মধ্যে সমস্যা মিটবে বলে পুর দফতরকে আশ্বাস দিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।
আরও পড়ুন: বর্ষা ঢুকল রাজ্যের সব জেলায়, ঝেঁপে বৃষ্টি চলবে দফায় দফায়
পুর কর্তৃপক্ষের একাংশের মতে, করোনার ফলে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে নজরদারিতে কিছুটা সমস্যা হবে। কারণ, অনেকে ‘বাইরের’ মানুষকে বাড়িতে ঢুকতে দিতে নারাজ। সঙ্গে কন্টেনমেন্ট জ়োন থাকায় বাড়ি-আবাসনে প্রবেশেও সমস্যা হবে। এই পরিস্থিতিতে মশার তেলের প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়েছে। তাই তেলের অভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলার প্রাথমিক ক্ষেত্র অনেকাংশে ‘দুর্বল’ বলে মনে করছেন বহু পুর কর্তৃপক্ষই। তবে ডেঙ্গি মোকাবিলার প্রাথমিক পাঠ হিসেবে এলাকা, বাড়ি, পাড়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, জল জমতে না দেওয়ার দিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে বলে দাবি করেছে বহু পুরসভা। ভেক্টর কন্ট্রোল টিম (ভিসিটি) কাজ করলেও পতঙ্গবাহিত রোগ মোকাবিলার অন্যতম ভূমিকা পালন করেন বাড়ি বাড়ি যাওয়া (এইচ টু এইচ) সদস্যরা। তাঁদের কাজের বিষয়ে এখনও স্বাস্থ্য ভবন নির্দেশ দেয়নি বলে খবর। গত দু’বছরে ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্তের নিরিখে চিহ্নিত ৪২টি পুরসভার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করেছে পুর দফতর।
একটি সূত্রের দাবি, মশার তেল সরবরাহ নিয়ে জট এখনও না-কাটাতে পারলেও ডেঙ্গির নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালের ল্যাবরেটরির পরিকাঠামো বৃদ্ধির পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য দফতর।