সুভাষ সরকারের সঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের ছবি পোস্ট করে আক্রমণ শশী পাঁজার। নিজস্ব চিত্র
শিশুপাচারের অভিযোগে বাঁকুড়ার একটি বেসরকারি স্কুলের অধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই তা নিয়ে সরব তৃণমূল। বিজেপি-কে নিশানা করে টুইট করলেন রাজ্যের নারী, শিশু এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা। বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমলকুমার রাজোরিয়ার সঙ্গে বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারের একটি ছবি নেটমাধ্যমে পোস্ট করে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই সুভাষকেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করেছেন। শশীর এই টুইটের পর জাল টিকা-কাণ্ডে ধৃত ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের প্রসঙ্গ তুলে পাল্টা তোপ দেগেছেন সুভাষও।
বাঁকুড়ার ওই অধ্যক্ষ কমলকুমার ছাড়াও আরও সাত জনকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছেন স্কুলের এক শিক্ষিকাও। ওই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই তা নিয়ে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল। সোমবার এ নিয়ে বিজেপি-কে বিঁধে টুইট করেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা। পোস্টের সঙ্গে জুড়ে দেন একটি ছবিও। ওই ছবিতে বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সঙ্গে দেখা যাচ্ছে অধ্যক্ষ কমলকুমারকে। শশীর প্রশ্ন, ‘বাঁকুড়ার জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শিশু পাচারচক্রের সঙ্গে জড়িত। বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের সঙ্গে তাঁর এই সংযোগ উদ্বেগজনক। বিজেপি কি এই সব অপরাধীদের আশ্রয় দেয়?’
সংসদে বাদল অধিবেশনে যোগ দিতে এই মুহূর্তে দিল্লিতে রয়েছেন সুভাষ। সেখান থেকে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে অন্যকে হেয় করা পশ্চিমবঙ্গের নেতা, মন্ত্রীদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। একটি গ্রামে শিশুদের খাতা এবং বই দেওয়ার অনুষ্ঠানে ওই অধ্যক্ষ যেমন আমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানে আমিও আমন্ত্রিত ছিলাম। সেখানে স্কুলের একাধিক শিক্ষক, শিক্ষিকাও ছিলেন। তিনি ভুয়ো আইএএস-এর মতো কোনও ভুয়ো অধ্যক্ষ নন। তিনি একটি নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ। তাই ছবিতে যা দেখা গেছে তা খুবই স্বাভাবিক।’’ সুভাষের আরও বক্তব্য, ‘‘এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি বাঁকুড়ার প্রশাসনের আধিকারিকদের সাথে কথা বলে দ্রুত নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। কেউ অপরাধ করে থাকলে সে যেন দৃষ্টান্তমূলক সাজা পায়।’’
বছর চারেক আগে দত্তক দেওয়ার নাম করে বিদেশে শিশু পাচারের অভিযোগ উঠেছিল জলপাইগুড়ির একটি হোমের বিরুদ্ধে। তাতে বিজেপি-র রাজ্য মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদিকা জুহি চৌধুরীর নাম জড়িয়ে যায়। এমনকি ওই ঘটনায় বর্তমানে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-র কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়কেও সেই সময় নোটিস পাঠিয়েছিল রাজ্য গোয়েন্দা দফতর (সিআইডি)।