—ফাইল চিত্র।
হলদিয়া এবং ব্যারাকপুরের দলীয় দুই বিধায়ক শিউলি সাহা এবং শীলভদ্র দত্তকে দল থেকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল। দলের আর এক বিধায়ক সিউড়ির স্বপনকান্তি ঘোষ ইতিমধ্যেই সাসপেন্ডেড। এর ফলে একসঙ্গে শাসক দলের তিন বিধায়ক দলবিরোধী কাজের দায়ে আপাতত সাসপেনশনের আওতায় পড়লেন। বিধানসভা ভোটের আগে যা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, শাস্তিপ্রাপ্ত তিন বিধায়কই তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘ধারাবাহিক ভাবে দলবিরোধী নানা কার্যকলাপ যুক্ত থাকার জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ার বিধায়ক শিউলি সাহা এবং উত্তর ২৪ পরগনার ব্যারাকপুরের শীলভদ্র দত্তকে দল থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।’’ বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও পার্থবাবু জানিয়েছেন। সাসপেন্ডেড বিধায়কেরা নিয়ম অনুযায়ী বিধানসভায় দলের হুইপ মানতে বাধ্য। তার সামান্য অন্যথা হলে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করার সংস্থান রয়েছে।
সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ দলেরই স্থানীয় পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তৃণমূল নেতৃত্বের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের প্রার্থীরা ভোটে লড়ার খরচ হিসেবে ‘বিশেষ’ কুপন পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। তার পর তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। শিউলি এবং শীলভদ্রও বেশ কিছু দিন দলীয় নেতৃত্বের নজরদারিতে ছিলেন। রবিবার সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে মুকুল রায়ের ‘ইফতার আসরে’ তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে হাজির ছিলেন তাঁরা দু’জনেই। সেই রাতেই তৃণমূল নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, ওই দু’জনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই মতোই সাসপেনশনের সিদ্ধান্ত।