যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়।—ফাইল চিত্র।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনেটের বৈঠকে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সভাপতিত্ব করার কথা ছিল। ঠিক আগের দিন সেই বৈঠক হঠাৎ স্থগিত রাখা হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার নিজের থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজির হয়েছিলেন আচার্য-রাজ্যপাল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে প্রশ্ন উঠছে, সেনেটের বৈঠক হবে কবে?
জানুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় সমাবর্তনে নোবেলজয়ী অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে পাশ হয়ে গিয়েছে। এ বার সেনেটের সবুজ সঙ্কেত পেতে হবে। শিক্ষা সূত্রের খবর, অনিবার্য কারণে সেনেটের বৈঠক স্থগিত রাখার পরে সেই কারণের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এখনও রাজভবনকে অবহিত করানো হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি (কুটা) সাধারণ সম্পাদক পার্থিব বসু বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সমাবর্তন যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়, তার জন্যই যত দ্রুত সম্ভব সেনেটের বৈঠক করা প্রয়োজন।’’
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন ২৪ ডিসেম্বর। আচার্য-রাজ্যপাল ধনখড়ের সেখানে যাওয়ার কথা। কিন্তু বুধবার তাঁর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সফরে যা ঘটেছে, তাতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে, সমাবর্তন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হবে তো? এর আগে দু’বার যাদবপুর ক্যাম্পাসে গিয়েছেন রাজ্যপাল। প্রথম বার সেপ্টেম্বরে ছাত্র-বিক্ষোভের মুখে পড়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে আনতে। দ্বিতীয় বার সেনেটের বৈঠকে যোগ দিতে। এ বার তাঁর সমাবর্তনে আসার কথা। সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য এ দিন বলেন, ‘‘আমরা সমাবর্তনের জন্য যে-ভাবে প্রস্তুতি চালানোর কথা, সে-ভাবেই চালাচ্ছি।’’ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত সমাবর্তন হয় সেপ্টেম্বরে। কিন্তু এ বার সমাবর্তন এখনও হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য, সমাবর্তন কবে হবে, তাঁরা তা জানতে চেয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাঁরা উত্তর পেয়েছেন, আচার্য-রাজ্যপালের সময় পাওয়া যাচ্ছে না।