Semester Exam

এ বছর থেকেই উচ্চ মাধ্যমিকে নতুন পাঠ্যক্রম? মুখ্যমন্ত্রীর সম্মতি পেলেই সিদ্ধান্ত

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ এই সংক্রান্ত নতুন পাঠ্যক্রমের পরিকল্পনা ইতিমধ্যে বিকাশ ভবনে পাঠিয়েছে। বিকাশ ভবন সম্মতি দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৩২
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

সিমেস্টার পদ্ধতি চালু হলে যে নতুন পাঠ্যক্রম হবে, তার পরিকল্পনা ইতিমধ্যে বিকাশ ভবনে পাঠিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষ সংসদ। বিকাশ ভবন সম্মতি দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, বিধানসভার অধিবেশন শেষ হলে এই নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তার পরেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। সব ঠিকঠাক চললে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে একাদশ, দ্বাদশ শ্রেণিতে চালু হতে চলেছে সিমেস্টার পদ্ধতি। সে ক্ষেত্রে যারা মাধ্যমিক পাশ করতে চলেছে, তারা নতুন পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা করে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট চারটি পরীক্ষা দেবে।

Advertisement

সিমেস্টার পদ্ধতিতে কী রকম পাঠ্যক্রম হবে, সেই সংক্রান্ত পরিকল্পনা বিকাশ ভবনে জমা করেছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিকাশ ভবন সেই নতুন পাঠ্যক্রম নিয়ে পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য জানিয়েছেন, বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন শেষ হলেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি সম্মতি দিলে চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকে সিমেস্টার পদ্ধতি শুরু হবে। এ বছর যারা মাধ্যমিক পাশ করবে, তারা এই পদ্ধতিতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিতে মোট চারটি সিমেস্টার দেবে।

২০২৪ সালের নভেম্বরে হবে একাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টার। ২০২৫ সালের মার্চে হবে একাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সিমেস্টার। ওই বছর নভেম্বরে হবে দ্বাদশ শ্রেণির প্রথম সিমেস্টার। ২০২৬ সালের মার্চে হবে দ্বাদশ শ্রেণির দ্বিতীয় সিমেস্টার। দ্বাদশ শ্রেণির দু’টো সিমেস্টারের উপর মূল্যায়ন করে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। একাদশ শ্রেণির দু’টি সেমেস্টার নেবে স্কুল। সংসদের নিয়ম মেনে। দ্বাদশ শ্রেণির দু’টি সেমেস্টার নেবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

Advertisement

রাজ্যের শিক্ষানীতিতে প্রস্তাব ছিল। মন্ত্রিসভা তাতে অনুমোদন দিয়েছিল। তার পরেই উচ্চ মাধ্যমিকে সেমেস্টার পদ্ধতি চালু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে বিকাশ ভবন। এই নিয়ে রাজ্য শিক্ষা দফতর একটি কমিটি গড়ে। একই সঙ্গে রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির মূল্যায়ন এবং র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্যও একটি কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষানীতির প্রস্তাব খতিয়ে দেখেন কমিটির সদস্যেরা।

উচ্চ মাধ্যমিকের মূল্যায়নে আরও স্বচ্ছতা আনতে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীরা যে নম্বর পাবেন, সেই নম্বরগুলি সরাসরি পোর্টালে বসিয়ে দেবেন প্রধান পরীক্ষকেরা। সংসদ সরাসরি সেই নম্বরের পোর্টালে অ্যাকসেস করতে পারবে। উচ্চ মাধ্যমিকের প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যে সেই পরীক্ষার নম্বর পোর্টালে বসিয়ে দিয়েছেন স্কুলের পরীক্ষকেরা। সংসদের তরফে জানানো হয়েছে, এর ফলে দ্রুত উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হবে।

এ দিকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের স্টুডেন্ট পোর্টালে দ্রুততার সঙ্গে কাজ হচ্ছে। ১৯৭৮ সাল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চালু হয়েছে। সেই সময় থেকে বর্তমান বছর পর্যন্ত সমস্ত ফলাফল পোর্টালে নথিবদ্ধ করার কাজ চলছে। ২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন, তাঁদের ফলাফল নথিবদ্ধ করার কাজ হয়ে গিয়েছে। ১৯৯৬ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের ফলাফল আপলোডের কাজ চলছে। তার আগে যাঁরা উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছেন, তাঁদের ফলাফল ডিজিটাল ফরম্যাটে নেই। সেগুলি আপলোড করা হবে। এর পর থেকে তাঁরা অনলাইন শংসাপত্র ডাউনলোড করতে পারবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement