SDO

ভাত আরও একটু সেদ্ধ চাই, শালবনির হাসপাতালে মহকুমাশাসককে পেয়ে আর্জি কোভিড রোগীর

পিপিই কিট পরে ঢুকে পড়েন ওয়ার্ডে। হাসপাতালের ৫ তলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে কথা বলেন রোগীদের সঙ্গে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২০ ১৯:১৩
Share:

হাসপাতাল পরিদর্শনে মেদিনী‌পুর সদরের মহকুমাশাসক। নিজস্ব চিত্র।

ভাত আরও একটু বেশি সেদ্ধ করে দিতে বলবেন। হাতের কাছে মহকুমাশাসককে দেখে এমনই আর্জি জানালেন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি সুপার স্পেশালিটি কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগী। এ দিন ওই হাসপাতাল পরিদর্শন করেন মেদিনী‌পুর সদরের মহকুমাশাসক দীননারায়ণ ঘোষ। বুধবার দুপুরে পিপিই কিট পরে তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন করোনা আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে কথা বলেন। পরে চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলেন।

Advertisement

বুধবার দুপুর ১২টা নাগাদ মহকুমাশাসক পৌঁছে যান শালবনি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পিপিই কিট পরে ঢুকে পড়েন ওয়ার্ডে। হাসপাতালের ৫ তলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে কথা বলেন রোগীদের সঙ্গে। কারও কোনও সমস্যা রয়েছে কি না, চিকিৎসক আসছেন কি না, খাবার ও অন্যান্য কোনও সমস্যা আছে কি না তা নিয়ে খোঁজ খবর নেন। জানা গিয়েছে, এক রোগী ম‌হকুমাশাসকের কাছে দাবি করেছেন, ভাত যেন আরও একটু সেদ্ধ করা হয়।

মাস দু'য়েক আগে ওই হাসপাতালে খাবার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ উঠেছিল। তার পর থেকেই নজরদারি বেড়েছে। এ দিনের পরিদর্শনের পরে দীননারায়ণ ঘোষ বলেন, "এখানে আপাতত কোনও সমস্যা নেই। হাসপাতাল বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। খাবার ও চিকিৎসা নিয়েও তেমন কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

Advertisement

রোগীদের বেডের সঙ্গেই রয়েছে চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র। চিকিৎসকের মন্তব্য, অক্সিজেন মাত্রা, প্রেসার বা শারীরিক তাপমাত্রার খুঁটিনাটি লেখা থাকছে সেখানে।"

আরও পড়ুন: পালকের প্রাণ বাঁচালো টিয়া, আগুন থেকে রক্ষা পেল অনেকে

আরও পড়ুন: রাস্তায় স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন, ভিডিয়ো তুলল পথচারীরা

এ দিন মহকুমাশাসক হাসপাতালে যাওয়ায় অনেক রোগীই চমকে যান। হাসপাতালেও শুরু হয় তৎপরতা। বৃহস্পতিবার রাজ্যের করোনা চিকিৎসা নিয়ে বিভিন্ন জেলার সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। ঠিক তার আগের দিনেই মহকুমাশাসকের এই হাসপাতাল পরিদর্শন। যদিও প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, এটা রুটিন পরিদর্শন। করোনা হাসাপাতাল গুলিতে নিয়মিত নজরদারি চালানো হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের কোনও না কোনও আধিকারিক করোনা হাসপাতাল ও সেফ হোমগুলি পরিদর্শনে যান। তা ছাড়া নজরদারির জন্য হাসপাতালের ওয়ার্ডে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। তাতে জেলা হেড কোয়ার্টার থেকেই নজরদারি চালানো সম্ভব হচ্ছে। প্রশাসনিক আধিকারিকেরা মোবাইলেও সিসিটিভি ক্যামেরার ছবি দেখতে পান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement