—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
তীব্র দাবদাহের কারণে এগিয়ে আনতে হয়েছে স্কুলের গরমের ছুটি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে গত বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে শিক্ষা দফতর গরমের ছুটি এগিয়ে আনার কথা ঘোষণা করে। কিন্তু তার পরেই স্কুলগুলিতে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে কী ভাবে শেষ করা হবে পরীক্ষার সিলেবাস, তা নিয়ে। তাই বেশ কিছু সরকারি স্কুল ইতিমধ্যে অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়ে উদ্যোগ শুরু করেছে।
কোভিড অতিমারির সময় থেকেই অনলাইন ক্লাসের চলন শুরু হয়েছে। কিন্তু সংক্রমণ কমতেই স্কুলগুলিতে অফলাইন ক্লাস চালু হয়। কিন্তু অত্যধিক গরমের কারণে সেই পন্থায় ফিরতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে। এ ক্ষেত্রে অনলাইন ক্লাস চালুর বিষয়ে শিক্ষা দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষা দফতর সূত্রে খবর, দাবদাহের কারণে ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষা-অশিক্ষক কর্মীদের অবস্থার কথা মাথায় রেখেই স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে কোনও স্কুল চাইলে বিকল্প পদ্ধতিতে সিলেবাস শেষ করার উদ্যোগ নিতেই পারে। ভবানীপুর মিত্র ইনস্টিটিউশন, শ্যামবাজার পার্ক ইনস্টিটিউশন, যোধপুর পার্ক বয়েজ স্কুলের মতো সরকারি স্কুলগুলির পাশাপাশি বেসরকারি স্কুলগুলিও একই পথে হাঁটছে।
বৃহস্পতিবার বিজ্ঞপ্তি জারি করে গরমের ছুটি এগিয়ে আনার নির্দেশিকাটি আইসিএসই এবং সিবিএসই কর্তাদেরও পাঠিয়েছে বিকাশ ভবন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বেসরকারি স্কুলগুলি শিক্ষা দফতরের প্রস্তাব মেনে নিয়েছে। তারাও স্কুলে গরমের ছুটি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি অনলাইন ক্লাস চালু করছে।